নিজস্ব প্রতিবেদক
ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় কোরবানি দিতে গিয়ে গরুর লাথি, শিংয়ের গুঁতা ও ছুরির আঘাতে এখন পর্যন্ত অন্তত ৩২০ জন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ১৫৮ জন এবং জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) ১৬২ জন চিকিৎসা নিয়েছেন।
সোমবার (১৭ জুন) সকাল থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ঢামেক ও পঙ্গু হাসপাতালে মোট ৩২০ জনকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হয়। কোরবানি করতে গিয়ে গরুর লাথি ও গুঁতা খেয়ে হাত ও পায়ের হাড় ভেঙে আহত হয়েছেন অনেকে। অনেকের আবার হাত-পায়ের রগ কেটে গেছে।
ঢামেক জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন (ভারপ্রাপ্ত) ডা. খন্দকার মোহাম্মদ মেহেদী আমান জানান, কোরবানি দিতে গিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আমাদের এখানে আহত অবস্থায় এসে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ১৫৮ জন চিকিৎসা নিয়েছে। আহতদের জরুরি বিভাগ থেকে সেলাই ও চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
পঙ্গু হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মানস দাস জানান, সোমবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পশু কোরবানি দিতে গিয়ে অন্তত ১৬২ জন আহত হয়ে হাসপাতালে এসেছেন। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
এছাড়াও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পশু কোরবানি দিতে গিয়ে গরুর লাথি খেয়ে ও মাংস কাটার সময় আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন আরও অনেকে।
এর আগে ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের সহকারী ইনচার্জ মো. মাসুদ জানান, সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে ১৫০ জন কোরবানির গরু জবাই ও গোশত কাটতে গিয়ে আহত হয়ে চিকিৎসা নেন। আহতদের সংখ্যা বাড়তে থাকবে। আহতদের মধ্যে এ পর্যন্ত মৌসুমী কসাইয়ের সংখ্যাই বেশি।
আরইউ