স্পোর্টস ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ম্যাচের আগে ইংল্যান্ডের সামনে সম্ভাবনা ছিল বড় ব্যবধানে জিতে নেট রান রেট অন্তত দক্ষিণ আফ্রিকার থেকে বেশি রাখার। তবে জশ বাটলারের ব্যাটিং ঝড়ে ইংলিশরা এতটাই দাপটে জিতল যে নেট রান রেটে তারা ছাড়িয়ে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজকেও। এতেই ১০ উইকেটের বিশাল ব্যবধানের এই জয়ে আসরের প্রথম দল হিসেবে সেমির টিকিট কাটল আগের আসরের চ্যাম্পিয়নরা।
কেনসিংটন ওভালে টসে জিতে নেট রান রেট বাড়ানোর উদ্দেশ্যেই আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ইংলিশ অধিনায়ক জশ বাটলার। সেই সিদ্ধান্তে শেষ পর্যন্ত পুরোপুরি সফল তিনি। আগে ব্যাট করতে নেমে সবকটি উইকেট হারিয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১১৫ রান। সেমিতে পৌঁছাতে হলে সেই লক্ষ্যে ১৮ ওভার ৪ বলে পৌঁছাতে হতো ইংল্যান্ডকে। তবে বাটলারের ব্যাটিং তাণ্ডবে সহজ এই লক্ষ্যে ৯ ওভার ৪ বলেই পৌঁছে যায় তারা।
শুরুটা অবশ্য ধীরেই করেছিল ইংল্যান্ড। ২ ওভার স্কোরবোর্ডে রান ছিল ৬। তবে এরপর থেকেই শুরু হয় বাটলারের বাউন্ডারির ঝড়। এতে পরের ১১১ রান তারা তুলেছে স্রেফ ৪৬ বলে। ৩৮ বলে ৬ চার ও ৭ ছক্কায় ৮৩ রানে অপরাজিত ছিলেন বাটলার। এদিকে সল্ট করেন ২৫ রান।
এদিকে এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুর ওভারে উইকেট হারালেও টেইলর-নিতিশের জুটিতে চাপ সামলেই এগোচ্ছিল তারা। তবে ইনিংস মাঝে আসতে না আসতেই কারানের পেস ও আদিল রশিদের স্পিন ঘূর্ণিতে আরও তিনটি উইকেট হারানো ছাড়াও রানের গতি কমে যায় অ্যারন জোনসের দলটির। স্কোরবোর্ডে ৬৭ রান উঠতেই নেই ৪ উইকেট। পরে কোরি অ্যান্ডারসন ও মিলিন্দ কুমারে চড়ে লড়াকু পুঁজির দিকে এগোচ্ছিল তারা।
৫ উইকেটে সংগ্রহ ছিল ১১৫ রান। সেখানে ১৮তম ওভারের শেষ বলে ষষ্ঠ উইকেট তোলেন স্যাম কারান। পরের ১৮ ওভার ৫ বলে অলআউট যুক্তরাষ্ট্র! সংগ্রহ সেই ১১৫ রানই। অর্থাৎ, শেষ ৫ বলে কোনো রান নিয়ে ৪টি উইকেট হারিয়েছে তারা। যার নেপথ্যে ডানহাতি পেসার ক্রিস জর্ডান। ওভারের প্রথম বলে উইকেট নেওয়ার পর দ্বিতীয় বল ডট, এরপরই হ্যাটট্রিক পান তিনি। পাঁচ বলে চার উইকেট নিয়ে যান রেকর্ড বনেও। দ্বিতীয় বোলার হিসেবে এম্ন কীর্তি গড়লেন জর্ডান।
সময় জার্নাল/এলআর