জেলা প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জে নদনদীর পানি কমতে থাকায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। এরইমধ্যে আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ছোট নৌকা নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘরে ফিরতে শুরু করেছেন বানভাসি মানুষ। অনেকেই আবার ফিরছেন গবাদিপশু নিয়ে।
তবে বানের পানির স্রোত এতটাই বেশি ছিল যে নিম্নাঞ্চলের পানি ওঠা বসতভিটাগুলোকে তছনছ করে দিয়েছে। তবে বন্যার তাণ্ডবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দোয়ারাবাজার, ছাতক ও সুনামগঞ্জ সদর।
জেলার সাত উপজেলার সাড়ে ৬ লাখ মানুষ গত এক সপ্তাহ ধরে পানিবন্দি থাকার পর এখন স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরতে শুরু করেছেন। গত কয়েক দিন পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টি না হওয়ায় বন্যার পানি বাড়িঘর থেকে নেমে গেছে।
জেগে উঠেছে বানের জলে তলিয়ে যাওয়া সড়কগুলোও। সেইসঙ্গে জেলা সদরের সঙ্গে সড়ক পথে যোগাযোগ সচল হয়েছে তাহিরপুর উপজেলার। এমনকি খুলে দেওয়া হয়েছে জেলার সকল পর্যটন কেন্দ্রগুলো।
তবে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তরা বলেন, বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও এখন আমরা ঘরবাড়ি কীভাবে মেরামত করবো, আর কীভাবে সংসার চালাবো সেটা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় আছি।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত আলাল মিয়া বলেন, বন্যার পানিতে ঘরবাড়ি একদম তছনছ হয়ে গেছে। এখন ঘর মেরামত করার জন্য টাকা কোথায় পাবো সেটা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।
পাবেল মিয়া বলেন, কোনো রকমে প্রাণ নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়েছি। এখন পানি কমেছে বাড়ি এসেছি। এসে দেখি বাড়ি আর বাড়ি নেই। ভেঙে মাটির সঙ্গে মিশে গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, সুনামগঞ্জে যে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছিল সেটা এরইমধ্যে স্বাভাবিক হয়েছে। সুরমা নদীর পানি এখন বিপৎসীমার ৩৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সময় জার্নাল/এলআর