সাইফ ইব্রাহিম, ইবি প্রতিনিধি:
অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত সার্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয়’ স্কিম প্রত্যাহারসহ তিন দফা দাবিতে আজ সোমবার (১ জুলাই) থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শিক্ষক সমিতি। রোববার পর্যন্ত পরীক্ষাসমূহ কর্মবিরতির আওতামুক্ত থাকলেও আজ থেকে সকল ধরনের একাডেমিক ও দপ্তরিক কাজ বর্জন করেছেন শিক্ষকরা। ফলে শিক্ষকদের আন্দোলনে একরকম অচল অবস্থা বিরাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয়ে।
সরেজমিনে দেখা যায়, রুটিন অনুযায়ী বিশ^বিদ্যালয়ের বাসগুলো চললেও কর্মবিরতির কারণে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে আসেননি। কয়েকটি বাসে গুটিকয়েক শিক্ষার্থীর দেখা মিললেও অধিকাংশ বাসই খালি অবস্থায় ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেখা গেছে। এতে খোলার দিনেও বিশ্ববিদ্যালয়ে বিরাজ করছে সুনসান নীরবতা। ক্লাসরুমসহ বিভিন্ন অফিসে নেই সেই চিরচেনা ব্যস্ততা।
এদিকে শিক্ষকরা ক্যাম্পাসে উপস্থিত হলেও কোনো একাডেমিক ও দপ্তরিক কাজে অংশ নেননি। বেলা ১২টায় অনুষদ ভবনের নীচতলায় অবস্থান নিয়ে একঘন্টার অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা। কর্মসূচিতে দলমত নির্বিশেষে সব শিক্ষকই এ প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবি জানান। অন্যদিকে একই দাবিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও অফিস বর্জন করে প্রশাসন ভবনের ফটকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজেও স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আবুল কালাম আজাদ বলেন, রুটিন অনুযায়ী চারটি বিভাগের পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও শুধুমাত্র একটি বিভাগের মানোন্নয়ন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া আজকে কোনো ফাইলও আসেনি এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উত্তোলনের জন্য কোনো শিক্ষার্থীও আসেনি।
এদিকে আন্দোলনের বিষয়ে ইবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা বাধ্য হয়ে আজকের সর্বাত্মক আন্দোলনে নেমেছি। আমরা কখনও চাই না শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্থ হোক। কিন্তু আমাদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। এই স্কিমের ফলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম শিক্ষকতা পেশার প্রতি আগ্রহ হারাবে।
তিনি আরও বলেন, এটি শুধু আমাদের জন্য নয়, বর্তমান শিক্ষার্থী যারা ভবিষ্যতে চাকুরীজীবনে প্রবেশ করবে তাদের জন্যও। এটা সম্পূর্ণ সরকারের হাতে। তারা চাইলেই এই কর্মসূচি প্রলম্বিত করতে পারে আবার শর্ট টাইমে স্কিম প্রত্যাহার করে আমাদের কর্মসূচির অবসান করতে পারে।
এমআই