বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

বাকৃবিতে ট্রেন থামিয়ে কোটা বিরোধী আন্দোলন

বুধবার, জুলাই ৩, ২০২৪
বাকৃবিতে ট্রেন থামিয়ে কোটা বিরোধী আন্দোলন

সিদ্ধার্থ চক্রবর্তী, বাকৃবি প্রতিনিধি:

চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা প্রথা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ের (বাকৃবি) সর্বস্তরের ছাত্রসমাজ। বুধবার (৩ জুলাই) দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ মিছিল শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ রেললাইনে চলমান ট্রেন অবরোধ করে রেললাইনে অবস্থান করেন শিক্ষার্থীরা।

কোটা বিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে আজ বেলা ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চের সামনে সমবেত হন বাকৃবির প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী। পরে সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি কে. আর. মার্কেট হয়ে মুক্তমঞ্চে এসে শেষ হয়। মিছিল চলাকালীন ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই, কোটা প্রথার কবর দে’ সহ নানান স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা। মিছিল শেষে মুক্তমঞ্চের সামনে একটি প্রতিবাদ সভা করেন শিক্ষার্থীরা।

প্রতিবাদ সভা শেষে সেখান থেকে আব্দুল জব্বার মোড় পর্যন্ত দ্বিতীয় দফায় বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি আব্দুল জব্বার মোড়ে পৌঁছালে ওই সময় ঢাকা থেকে মোহনগঞ্জগামী মহুয়া কমিউটার ট্রেন আটকে রেখে রেললাইন অবরোধ করে মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। প্রায় একঘন্টা ( দুপুর ১টা ২০ থেকে ২ টা ২০) যাবত রেললাইন অবরোধ করে রাখার পরে আবার ট্রেন চলাচল সচল হয়।

আন্দোলন চলাকালীন মেডিসিন বিভাগের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী মাশশারাত মালিহা বলেন, ২০১৮ এর ছয় বছর পরে একই কোটা নিয়ে আবার আন্দোলনে নামতে হয়েছে শিক্ষার্থীদের। এটিকে কি দেশের  উন্নতি বলা যায়? ঘুরেফিরে আমরা ছয় বছর পিছিয়েই রইলাম। মুক্তিযোদ্ধা কোটা যদি থাকবেই তাহলে ৭১-এ বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রাণত্যাগ অর্থহীন হয়ে যায়। আমরা আমাদের বন্ধু-বান্ধবদের প্রায়ই বলে থাকি যে তাদের তো মুক্তিযোদ্ধা কোটা আছে। চাকরি পেতে তাদের তো মেধার দরকার নেই। এর মাধ্যমে কিন্তু বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকেই প্রতিনিয়ত অবমাননা করা হচ্ছে। আমরা দেশের বীরদের অবশ্যই সম্মান করব। তবে কোনো ধরনের কোটা বৈষম্য আমরা মেনে নিবো না। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ, চাকরিতে নিয়োগ এবং অন্যান্য সকল প্রতিযোগিতার জায়গায় আমরা মেধার শতভাগ মূল্যায়ন চাই।

এসময় একোয়াকালচার বিভাগের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী রাশেদুল ইসলাম বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা আজীবন সর্বোচ্চ সম্মানের যোগ্য। তবে তাঁদের সম্মান দেওয়ার নাম করে কোটা প্রথার মাধ্যমে সাধারণ শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীদের সাথে চরম বৈষম্যের চেষ্টা করা হচ্ছে। বাংলার ছাত্রসমাজ এটি কিছুতেই মেনে নিবে না। ৪ জুলাইয়ে কোটার বিষয়ে যে রায় হবে সেখানে আমরা মেধাবীদের জয় দেখতে চাই। আর তা না হলে দেশের সমগ্র ছাত্রসমাজ একযোগে রুখে দাঁড়াবে।

উল্লেখ্য, গত ৫ জুন সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলসংক্রান্ত পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। এর ফলে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেডে নিয়োগ দেওয়ায় আর কোনো বাধা থাকল না বলে জানিয়েছেন রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী। পরদিন থেকেই ওই রায়ের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামেন।

এমআই 


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল