নিজস্ব প্রতিনিধি:
ছাগলকাণ্ডে আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন। দুদকের আইনজীবী মীর আহম্মেদ সালাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সম্পতিগুলোর মধ্যে বরিশালের মুলাদী উপজেলায় মতিউরের ১১৪ শতাংশ জমি। নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মারজাল ইউনিয়নে লায়লা কানিজের ৫২২.৫২ শতাংশ জমি ও বসুন্ধরায় ২৪৪৫ স্কায়ার ফিট ফ্ল্যাট। নরসিংদীতে আহম্মেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণবের ২৭৫.৮৫ শতাংশ জমি। নরসিংদীতে ফারজানা রহমান ইন্সিতার ১০৬.৫৬ শতাংশ জমি ও ঢাকার বসুন্ধরায় ৫ কাঠা জমির ওপর বহুতল ভবন। ধানমন্ডিতে শাম্মী আখতার শিভলীর একটি ফ্ল্যাট ও বসুন্ধরায় ৫ কাঠা জমি।
সম্পত্তি জব্দের আবেদনে উল্লেখ করা হয়, দুদকের উপপরিচালক (টিম লিডার) আনোয়ার হোসেন, সহকারী পরিচালক (সদস্য) মাহমুদুল হাসান ও উপসহকারী পরিচালক (সদস্য) সাবিকুন নাহারের সমন্বয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে। নথি পর্যালোচনায় দেখা যায়, মতিউর রহমান দুর্নীতির মাধ্যমে দেশে ও বিদেশে অবৈধ সম্পদসহ হন্ডি ও আন্ডার ইনভয়েসিং/ওভার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে অর্থপাচার করে শত শত কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন।
সম্প্রতি মতিউর রহমানের দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে মুশফিকুর রহমান ইফাতের ১২ লাখ টাকায় ছাগল কেনার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এরপরই তা ‘টক অব দ্য কান্ট্রিতে’ পরিণত হয়।
ছাগলকাণ্ডে আলোচিত ইফাতের বাবা মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে চারবার অনুসন্ধান করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। প্রতিবারই অনুসন্ধান পর্যায় থেকে শেষ হয়েছে কার্যক্রম। সম্প্রতি মতিউরের বিরুদ্ধে ফের অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। এরই মধ্যে মতিউর রহমান দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন বলে খবর ছড়িয়ে গেছে।
সময় জার্নাল/এলআর