স্পোর্টস ডেস্ক:
মূল ম্যাচ ১-১ ব্যবধানে ড্র হওয়ায় ম্যাচ যাওয়ার কথা ছিল অতিরিক্ত সময়। তবে কোপার নিয়ম অনুযায়ী এবারের আসরে কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনা ও ইকুয়েডরের মধ্যকার ম্যাচটি মূল সময় শেষে স্কোরলাইন সমান হওয়ায় ম্যাচ সরাসরি যায় টাইব্রেকারে।
সেখানে আরও একবার আর্জেন্টাইনদের ঢাল হয়ে দাঁড়ালেন এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। এবং তার দুর্দান্ত দুই সেভেই শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে ৪-২ ব্যবধানে জিতে সেমিতে উঠে যায় আর্জেন্টিনা।
ম্যাচের ছয় মিনিটের মাথায় আর্জেন্টিনার ডিফেন্সের ভুলে বল পেয়ে যান কাইসেদো। ডি-বক্সের সামান্য ভেতর থেকে নেওয়া দুর্বল শট সহজেই তালুবন্দি করেন এমি মার্টিনেজ।
ম্যাচের ১৫ মিনিটের মাথায় আবারও সুযোগ পায় ইকুয়েডর। এবার দারুণ আক্রমণ করে ডান দিক দিয়ে তারা। কিন্তু বল নিয়ে ভেতরে ঢুকে একজন ডিফেন্ডারকে কাটালেও গোলকিপার মার্টিনেজকে পরাস্ত করতে পারেননি পায়েজ।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে ৫৪ মিনিটে এমি মার্টিনেজের কিক থেকে বল ডি বক্সের ভেতর বল পেয়েও লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেন লাওতারো।
ম্যাচে ৫৯ মিনিটে কর্নার থেকে ডি বিক্সের ভেতর হেড দিতে গিয়ে রড্রিগো ডি পলের হাতে বল লাগলে রেফারি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন।
স্পট কিক থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ থাকলেও স্পট কিক থেকে বল গোলবারে মারেন তিনি। সমতায় ফিরতে ব্যর্থ হয় ইকুয়েডর। ম্যাচের ৬৮ মিনিটে প্রথম গোলমুখে শট নেন লিওনেল মেসি। তার ডান পায়ের শট সোজা গোলরক্ষক বরাবর গেলে সেটি তিনি ভালোভাবেই রুখে দেন।
ম্যাচে যখন আর্জেন্টিনা জয়ের সুবাস পাচ্ছিল তখনই ম্যাচের ৯২ মিনিটে ইকুয়েডরের কেভিন রড্রিগেজ গোল করে ইকুয়েডরকে সমতায় ফেরান। কোপায় কোনো অতিরিক্ত সময়ের নিয়ম না থাকায় ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে।
টাইব্রেকারে আবারও সেই এমিলিয়ানো মার্টিনেজ বীরত্বে ম্যাচ জিতলো আর্জেন্টিনা। আর্জেন্টিনার হয়ে প্রথম পেনাল্টি মিস করেন মেসি। কিন্তু এমি মার্টিনেজ টানা দুটি পেনাল্টি রুখে দিয়ে আর্জেন্টিনাকে ম্যাচে ফেরান। শেষ পেনাল্টিতে নিকোলাস ওটামেন্ডি আর্জেন্টিনার হয়ে গোল করে দলকে সেমিফাইনালে তোলেন।
সময় জার্নাল/এলআর