ধর্ম ডেস্ক:
ইসলামি হিজরি ক্যালেন্ডারের প্রথম, এবং পবিত্রতম মাসগুলির একটি। প্রসঙ্গত, প্রাক্-ইসলাম পশ্চিম এশিয়াতেও কিছু কিছু মাসকে পবিত্র বলে মনে করা হত এবং সেই সব মাসে যুদ্ধবিগ্রহ নিষিদ্ধ ছিল। ইসলামী বিধিবিধান প্রতিপালন ও পরিকল্পিত সন গণনার প্রয়োজনেই মূলত হিজরি সনের (Hijri Year) উদ্ভব ঘটে।
রাসূলুল্লাহ সা: মহররম মাসকে শাহারুল্লাহ বা আল্লাহর মাস বলেছেন। মহররম একটি আরবি শব্দ, যার অর্থ অলঙ্ঘনীয়, পবিত্র, সম্মানিত।
ইসলামের ইতিহাসে বহু গৌরবোজ্জ্বল ঘটনা এ মাসে সংঘটিত হয়েছে। বিশেষ করে এই মাসের ১০ তারিখ বা আশুরাতে আদি পিতা হজরত আদম আ: সৃষ্টি, হজরত নূহ আ:-এর নৌযাত্রা ও প্লাবন, হজরত মূসা আ:-এর সমুদ্রপথে রওনাসহ ইসলামের ইতিহাসে বহু ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটে। তাই প্রত্যেক মুমিন মুসলমানের উচিত এ মাসকে যথাযথ মর্যাদার সাথে পালন করা।
মহররম মাসের নফল রোজাকে সর্বোত্তম নফল সাওম বলে হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে। হজরত আবু হুরায়রা রা: বর্ণিত, এক হাদিসে রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন, ‘রমজানের পরে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ সাওম হচ্ছে আল্লাহর মাস মহররমের সাওম (মুসলিম, আস-সহিহ ২/৮২১)। এ মাসের ১০ তারিখ আশুরার দিনের সাওমের বিশেষ ফজিলত রয়েছে।
মহররম মাস আগমনের সাথে সাথে কারবালার ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাজিয়া তৈরি ও সিজদাহ ইত্যাদি করা হয়। ঢাক, ঢোল ও অন্যান্য বাদ্যযন্ত্র বাজানো হয় । এ ছাড়া আশুরার দিন কারবালার যুদ্ধের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুক-পিঠ চাপড়িয়ে ক্ষতবিক্ষত করে এবং ‘হায় হোসাইন, হায় হোসাইন’ মাতম করে। যার সাথে ইসলামী শরিয়তের সামান্যতম সম্পর্ক নেই। তাই প্রত্যেক মুসলমানের উচিত ইসলামবিরোধী এসব কাজ থেকে দূরে থাকা। রাসূলুল্লাহ সা:-এর সুন্নত তরিকায় মহররম মাসে আমল করা।
সময় জার্নাল/এলআর