নিজস্ব প্রতিবেদক:
কোটাবিরোধী আন্দোলনের পরবর্তী ঘোষণার জন্য শাহবাগের উদ্দেশ্যে নিজ নিজ স্পট থেকে রওনা হয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এরই অংশ হিসেবে কারওয়ান বাজার রেল ক্রসিং ছেড়েছেন তারা। ফলে প্রায় ছয় ঘণ্টা পর স্বাভাবিক হয়েছে ঢাকার সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ।
বুধবার (১০ জুলাই) বিকেল পৌনে ৬টার দিকে একটি ট্রেন কারওয়ান বাজার ক্রসিং অতিক্রম করে।
এর আগে, দুপুর ১২টার পর কোটাবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে ঢাকার কারওয়ান বাজার রেলগেটে রেলপথ অবরোধ করে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। ফলে পুরো ঢাকায় ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এ সময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা কারওয়ান বাজার রেল ক্রসিংয়ে রেলপথের বাইরে থাকা স্লিপার তুলে রেললাইনের ওপর রাখে এবং জাতীয় পতাকা নিয়ে রেললাইনে দাঁড়িয়ে যায়।
এদিকে, এরই মধ্যে সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেছেন আপিল বিভাগ।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের অক্টোবরে কোটাবিরোধী আন্দোলন চরম আকার ধারণ করলে সরকার পরিপত্র জারি করে সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা পুরোপুরি বাতিল করে দেয়। ওই পরিপত্র চ্যালেঞ্জ করে ২০২১ সালে রিট করেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি অহিদুল ইসলামসহ সাত শিক্ষার্থী। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ জুন পরিপত্রটি বাতিল করে দেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ।
এই রায়ের পর ফুঁসে উঠেন শিক্ষার্থীরা। তারা কোটা বাতিলের দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন। গত ১ জুলাই থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে জোরালো আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। ‘বাংলা ব্লকেড’ নামে দুই দিন ঢাকায় কর্মসূচি পালন করেন তারা। এতে রাজধানী স্থবির হয়ে পড়ে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীরা রাজপথ অবরোধ করায় ভোগান্তিতে পড়তে হয় সাধারণ মানুষদের। মাঝে এক দিন বিরতি দিয়ে বুধবার আবারও ব্লকেড কর্মসূচিতে রাজপথে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা। এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
এমআই