রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

থমথমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ক্যাম্পাসে পুলিশের অবস্থান

সোমবার, জুলাই ১৫, ২০২৪
থমথমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ক্যাম্পাসে পুলিশের অবস্থান

নিজস্ব প্রতিবেদক:

কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের দিনভর সংঘর্ষের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ক্যাম্পাসে ঢুকেছে পুলিশ। বিভিন্ন হলের সামনে অবস্থান নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সংঘর্ষ আপাতত থামলেও যেকোনো সময় আবার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।  

সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুরে বিজয় একাত্তর হল থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষ বিকেলে থেমে থেমে চলে। সন্ধ্যায় আরেক দফা সংঘর্ষ চলে শহীদুল্লাহ হল এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে। হলের ভেতর থেকে কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ইট-পাটকেল ছুড়ে মারে। আর বাইরে থেকে হামলা চালায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় বেশ কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে।

সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটে ঢাবির দোয়েল চত্বর এলাকা থেকে অভিযান শুরু করে পুলিশ। এ সময় আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের একটি গ্রুপ এবং পুলিশের সাঁজোয়া যান একসঙ্গে সামনের দিকে এগিয়ে যায়। অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার।

সন্ধ্যা ৭টার পর শহীদুল্লাহ হলের ভেতরে অবস্থান করা কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা প্রভোস্ট ড. মোহাম্মদ জাভেদ হোসেনের উপস্থিতিতে হলের নিচে নেমে আসেন। এসময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা পুলিশকে দেখে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন।

ক্যাম্পাসে পুলিশ প্রবেশ করায় বিক্ষুব্ধ হন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা ‘টোকাই-পুলিশ গো ব্যাক গো ব্যাক’, ‘আমার উপর গুলি কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘অ্যাকশন অ্যাকশন ডাইরেক্ট অ্যাকশন’ এ ধরনের বিভিন্ন স্লোগান দেন।

এ সময় শিক্ষার্থীদের হলে ফিরে যাওয়ার জন্য পুলিশ কর্মকর্তারা অনুরোধ করলে তাদের সঙ্গে অনেককেই বাগবিতণ্ডায় জড়াতে দেখা গেছে।

এর আগে বেলা ১২টার পর ঢাবি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ শুরু করেন কোটা আন্দোলনকারীরা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের রাজাকার বলেছেন এমন অভিযোগ তুলে সরকারপ্রধানের বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানান। রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে দুপুরে তারা জড়ো হলে সেখানে সমাবেশ করতে আসে ছাত্রলীগ। প্রথমে ছাত্রলীগকে সেখান থেকে তাড়িয়ে দিলেও পরে ছাত্রলীগের হামলায় কোটা আন্দোলনকারীরা পিছু হটে। অল্প সময়ের ভেতরে ক্যাম্পাসের নিয়ন্ত্রণ নেয় ছাত্রলীগ। এরপর থেমে থেমে চলে সংঘর্ষ। 

ছাত্রলীগের হামলায় কোটা আন্দোলনকারী দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হওয়ার দাবি করেছেন এই আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়কারী নাহিদ ইসলাম। তিনি জানিয়েছেন, হামলা চালিয়ে আন্দোলন থামানো যাবে না। তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানান নাহিদ। 

এদিকে দিনভর সংঘর্ষে শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকসহ দুই শতাধিক আহত হয়েছেন। এর মধ্যে শতাধিক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। 

এমআই 


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল