নিজস্ব প্রতিবেদক:
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতার ঘটনায় প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার বিভাগীয় তদন্ত ও বিচার হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, যারা সহিংসতা করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শুক্রবার (২৬ জুলাই) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
কোটা নিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে। আমরা বরাবরই শিক্ষার্থীদের দাবি সমর্থন করে আসছি।
তিনি বলেন, আন্দোলনের নামে শিক্ষার্থীদের হত্যা করে সরকারের ওপর দায় চাপানো হয়েছে। আমাদের কয়েক হাজার নেতাকর্মী ও পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। নজিরবিহীন তাণ্ডব চালিয়েছে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল শেখ হাসিনার সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামানো।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ৭১-এ যারা বেইমানি করেছে, হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তারা এখনও বেইমান। ৭১-এর খুনি, ৭৫-এর খুনি, ২১ আগস্টের খুনি, ২৪ সালেও— একই খুনি। তারা বিএনপি-জামায়াত।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের সাম্প্রতিক সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ডের সম্পূর্ণ দায় বিএনপি-জামায়াত ও তাদের দোসরদের। এ দায় থেকে মুক্তি পেতে তারা আন্তর্জাতিক তদন্ত চাইছে। মির্জা ফখরুল থলের বিড়াল বের হতে শুরু করেছে। আন্তর্জাতিক তদন্ত দাবি করছে। তারা দেশ ও দেশের মানুষের ওপর আস্থা রাখে না। এবারও তাদের সে সন্ত্রাসী চরিত্র উন্মোচিত হওয়ায় এ দায় থেকে মুক্তি পেতে বিদেশিদের হস্তক্ষেপ চাইছে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্তে বিএনপি-জামায়াতের নাশকতার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। সরকার হটানোর অপচেষ্টা সফল হতে দিতে পারি না। এই অশুভ চক্রান্ত ব্যর্থ হবে ইনশাআল্লাহ।
তিনি বলেন, আমরা কোনও অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু কামনা করি না। প্রতিটি হত্যার বিচার হবে। যারা সহিংসতায় জড়িয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশি-বিদেশি যে তাণ্ডব চালিয়েছে তা দেশের মানুষ মেনে নেবে না। অচিরেই দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এখনও যারা আন্দোলনের ডাক দিয়ে যাচ্ছে তাদের উদ্দেশ্য দেশকে ধ্বংস করা, দেশের অর্থনীতিকে আরও ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাওয়া, পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়া। বিএনপি-জামায়াত, বাম উগ্র গোষ্ঠী, দেশি-বিদেশি কুচক্রি মহল এখনও সক্রিয় আছে। বিএনপির-জামায়াতের সশস্ত্র ক্যাডাররা আবারো হামলা চালানোর চেষ্টা করতে পারে। দেশবাসীর প্রতি আহ্বান, যেখানেই আক্রমণকারী দেখবেন সে খবর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে সহযোগিতা করবেন।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সহিংসতাকারীদের ধ্বংসাত্মক কাজ জাতির সামনে উপস্থাপন করে সত্য প্রকাশ করুন। আওয়ামী লীগকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিপক্ষ বানানোর চেষ্টা সফল হবে না।
এমআই