সাইদুল ইসলাম সাঈদ, জিটিসি প্রতিনিধি :
কোটা আন্দোলন ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নানা ঘটনার পর সরকারি তিতুমীর কলেজ ক্যাম্পাসের পরিবেশ স্বাভাবিক হচ্ছে দিন দিন। তবে কিছু কিছু জায়গায় ময়লা-আবর্জনা জমে থাকায় তা দূর করতে ক্যাম্পাস খোলার পর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) "ক্লিন এন্ড গ্রিন ক্যাম্পাস- তিতুমীর" এর সঙ্গে কলেজের বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী মেইন গেট ও এর আশপাশে সকল ধরনের ব্যানার,প্রষ্টার তুলে ফেলে এবং সাবান পানি দিয়ে পরিস্কার করা হয়। শহিদ মামুন চত্বর, বিজ্ঞান ভবন, ছাত্র সংসদ এরিয়া, ক্যান্টিন চত্বরসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থান পরিচ্ছন্ন করেছেন।
এদিন তারা কলেজের মেইনগেট থেকে পরিচ্ছন্ন অভিযান শুরু করেন। নির্দিষ্ট স্থান পরিষ্কার শেষে ময়লা ভর্তি পলিব্যাগগুলো ময়লার ডাম্পিং স্টেশনে ফেলে দিয়ে তাদের কাজের পরিসমাপ্তি করেন।
এবিষয়ে ক্লিন এন্ড গ্রীন ক্যাম্পাস- তিতুমীরের সমন্বয়ক নয়ন সরকার বলেন, রাজনৈতিক সমস্যা জন্য আমাদের দুই বছর কার্যক্রম বন্ধ ছিল। বর্তমানে আমরা দ্বিতীয় স্বাধীনতা পরে আমরা আজ আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করেছি। আজকে আমরা সকাল ১১ টা থেকে ২ টা পর্যন্ত আমাদের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ক্যাম্পাসে গ্রেট থেকে নিয়ে ক্যাম্পাসে ভিতরে বিভিন্ন জায়গা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা করা হয়েছে। আমাদের সাথে সাধারণ শিক্ষার্থীরা নিজ উদ্যোগে অংশগ্রহণ করেছে। তারা ক্যাম্পাসে বাহিরের দেওয়াল পানি দিয়ে বিভিন্ন ব্যানার, পোস্টার পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে। তাদের এই কার্যক্রম দেখে আমি অভিভূত। আবার অনেকেই আমাদের খাবার ব্যবস্থা করে খাবার দিয়ে গেছে। এখন থেকে আমরা সংঘটনটি কার্যক্রম অব্যাহতি লাগব। ক্যাম্পাসে বিভিন্ন সমস্যা গুলো নিয়ে অধ্যাক্ষ কাছে তুলে ধরব। আমরা সবাই মিলে স্বাস্থ্যকর ক্যাম্পাস গড়ে তুলব।
একসঙ্গে পরিচ্ছন্নতা অভিযানে আসা ইংরেজি বিভাগের দুই বন্ধু মোহাম্মদ নাঈম এবং হাসান বলেন, আমাদের ক্যাম্পাস পরিষ্কার করার দায়িত্ব আমাদের। গত এক মাস ধরে নানান ঘটনায় ক্যাম্পাসের পরিবেশ স্বাভাবিক ছিল না। যার ফলে ক্যাম্পাসটা অনেকটা নোংরা পরিবেশ হয়েছিল। তাই যখন জানতে পারলাম শিক্ষার্থীরা পরিচ্ছন্নতা অভিযান করবেন তখন আমরাও অংশ নেওয়ার চিন্তা করি। এই কাজে অংশ হতে পেরে ভালোই লাগছে।
সোহেল নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানের বিষয়টা সকলের জন্য মেসেজ। আমরা সকলে যার যার জায়গা থেকে ময়লা-আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থানে ফেললে আসলে পরিবেশ ভাল থাকে এবং তা দেখে আমাদের ভাল লাগা অনুভব হয়। প্রতিদিনই তো আসলে আমাদের আসা সম্ভব নয় আসলে। এজন্য সকলেই সচেতন থাকলে সবার জন্যই ভালো।
প্রসঙ্গত, কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে হওয়া সহিংসতা ও সরকার পদত্যাগে সাময়িক সময়ের জন্য কলেজের বিভিন্ন ব্যবস্থাপনায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ে, বিশেষ করে ক্যাম্পাসে ভাঙচুরের ঘটনায়।
এমআই