নোবিপ্রবি প্রতিনিধি
৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত পদত্যাগ করেননি নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি ) ভাইস চ্যান্সেলর ( প্রো-ভিসি) প্রফেসর ড. মো. দিদার-উল-আলম, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রো-ভিসি) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল বাকী এবং রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন।
আল্টিমেটামের মধ্যে পদত্যাগ না করায় তাদের নোবিপ্রবি ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন শিক্ষার্থীরা। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ সময় উপাচার্যের কক্ষের সামনে নামফলক থেকে নাম সরিয়ে নেয় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (১০ আগস্ট) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে নোবিপ্রবি ক্যাম্পাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের নেতৃত্বে এ বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভ শেষে সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নোবিপ্রবির সমন্বয়করা।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) উপাচার্য, উপ-উপাচার্য এবং রেজিস্ট্রারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের পদত্যাগ চেয়ে আলটিমেটাম দেওয়া হয়। এর মধ্যে কোষাধ্যক্ষ প্রক্টর, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক, আইকিউএসির পরিচালক ও অতিরিক্ত পরিচালকসহ পাঁচ আবাসিক হলের প্রভোস্ট পদত্যাগ করলেও পদত্যাগ করেননি প্রশাসনের শীর্ষ পদে থাকা ৩ ব্যক্তি।
এ সময় সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে আগুন জ্বালিয়ে প্রতিবাদ করেন এবং বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন। এ ছাড়াও প্রতিবাদস্বরূপ তারা উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ এবং রেজিস্ট্রারের কক্ষের প্রধান গেটে তালা লাগিয়ে দেয় এবং পাশাপাশি উপাচার্যের নামফলক থেকে নাম সরিয়ে ফেলে।
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আলজকি হোসন বলেন, ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেয়া সত্ত্বেও সম্মানের সহিত পদত্যাগ না করায় এই বেহায়া, নির্লজ্জ, ভিসি, প্রো-ভিসি ও রেজিস্ট্রারকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে এই ক্যাম্পাস থেকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছি। এদের কাউকে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। এরা আগেও শিক্ষার্থীবান্ধব ছিলো না এবং ভবিষ্যতেও সেটা পারবে না।
আরেক সমন্বয়ক বনি ইয়ামিন বলেন, আপনারা জানেন এই খুনি প্রশাসন নির্লজ্জের মতো। তাদের ছাত্রসমাজ ৪৮ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেওয়ার পরও তারা নির্লজ্জের মতো পদত্যাগ করেননি। আমরা ছাত্রসমাজ তাদের দেখে নেবো।
সময় জার্নাল/এলআর