নিজস্ব প্রতিবেদক:
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও তিনটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ২টি হত্যা মামলা এবং একটি খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার মামলা। হত্যা মামলা দুটি হয়েছে জয়পুরহাট ও নাটোরে। এছাড়া অপর মামলাটি হয়েছে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায়।
রোববার (১৮ আগস্ট) দুপুর থেকে বিকেলের মধ্যে তার বিরুদ্ধে এ তিন মামলা দায়ের হয়।
নাটোরে স্কুলছাত্র ইয়াছিনকে তুলে নিয়ে হত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ১১১ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
রোববার (১৮ আগস্ট) দুপুরে নাটোর সদর থানায় উপস্থিত হয়ে ইয়াসিনের পিতা ফজরের আলী এ হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এদিকে, জয়পুরহাটে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে আরেকটি মামলা হয়েছে। আন্দোলনে কলেজছাত্র নজিবুল সরকার (১৮) গুলিতে নিহতের ঘটনায় এ মামলা হয়েছে।
রোববার (১৮ আগস্ট) নিহত নজিবুল সরকারের বাবা মজিদুল সরকার বাদী হয়ে জয়পুরহাট চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও মামলায় আসামি করা হয়েছে সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১২৮ জনকে। আদালত মামলাটি এজাহার হিসেবে নথিভুক্ত করতে জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন।
৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ কর্মসূচিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে নজিবুল সরকার নিহত হন। তিনি পাঁচবিবি উপজেলার রতনপুর গ্রামের মজিদুল সরকারের ছেলে। নজিবুল সরকার পাঁচবিবি বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
অপরদিকে, ২০১৫ সালে কারওয়ান বাজারে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় তেজগাঁও থানায় মামলা হয়েছে।
রোববার (১৮ আগস্ট) সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ ১১৩ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করা হয়।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ২৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
এজাহারে বলা হয়, ২০১৫ সালের ২০ এপ্রিল ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন খালেদা জিয়া। দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে ১টার মধ্যে কারওয়ান বাজার বাপেক্স ভবন, পল্লী ভবন, পরিবার পরিকল্পনা অফিস এবং কাব্যকস সুপার মার্কেটের সামনে রাস্তার ওপর সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগ ও তার বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা সশস্ত্র হামলা চালায়। ওই হামলায় বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িবহরের সব গাড়ি ভাঙচুর এবং সিএসএফ নিরাপত্তারক্ষীসহ বিএনপির অনেক নেতাকর্মী মারাত্মকভাবে গুরুতর আহত হয়। উক্ত বিষয়ে তেজগাঁও থানায় সহযোগিতা চাইলেও তারা নীরব ভূমিকা পালন করেন। রাজনৈতিক প্রভাবে ঘটনার সময় মামলা করিতে না পারায় বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিলম্বে ন্যায় বিচারের স্বার্থে এজাহার দায়ের করিলাম।
এর আগে, ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিল শাপলা চত্বরে হেফাজত ইসলামের সমাবেশে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে গণহত্যার অভিযোগে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়।
রোববার (১৮ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকী-আল ফারাবীর আদালতে এ মামলার আবেদন করেন বাংলাদেশ পিপলস পার্টির (বিপিপি) চেয়ারম্যান বাবুল সরদার চাখারী। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন এবং মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
এমআই