নিজস্ব প্রতিবেদক:
সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের স্ত্রী কাশমেরী কামাল ও তার মেয়ে নাফিসা কামাল এবং তিনজন সাবেক সংসদ সদস্যের (এমপি) নেতৃত্বাধীন চক্র মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর নামে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা লোপাট করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদকের উপপরিচালক নুরুল হুদার নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি টিম গঠন করা হয়েছে। বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন সংস্থাটির উপপরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম।
কাশমেরী কামাল ও নাফিসা কামাল ছাড়াও এই চক্রের নেতৃত্বে থাকা অন্য সদস্যরা হলেন ফেনী-২ আসনে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি নিজাম উদ্দিন হাজারী, ফেনী-৩ আসনে জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী ও ঢাকা-২০ আসনে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি বেনজীর আহমেদ।
জানা গেছে, মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠাতে সরকার নির্ধারিত ব্যয় ৭৯ হাজার টাকা। তবে শ্রমিকরা খরচ করেছেন পাঁচ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। এর মধ্যে জনপ্রতি চক্র ফি নেওয়া হয়েছে দেড় লাখ টাকা করে। মাত্র দেড় বছরে প্রায় সাড়ে চার লাখ শ্রমিক মালয়েশিয়ায় পাঠানো হয়। সাবেক ওই এমপিদের নেতৃত্বে দেড় বছরেই চক্রটি প্রায় ২৪ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা করে। এর মধ্যে কেবল চক্র ফি বাবদ নিয়েছে প্রায় ছয় হাজার ৭৫০ কোটি টাকা।
দুদক সূত্রের দাবি, সাবেক এমপিদের মালিকানাধীন রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর তথ্যসহ প্রয়োজনীয় সব তথ্য সংগ্রহে শিগগিরই বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি দেওয়া হবে। অনুসন্ধান টিম অভিযোগসংশ্লিষ্ট অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি খতিয়ে দেখার পাশাপাশি সাবেক এমপি ও তাদের পরিবারের সদস্যদের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের বিষয়ে খোঁজ নেবে। নির্ধারিত সময়ে অনুসন্ধান শেষে টিম কমিশনে প্রতিবেদন দেবে।
এমআই