নিজস্ব প্রতিনিধি:
একদিনে এক হাজার ৮৭৬ জন জনপ্রতিনিধিকে অপসারণ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এসব পদে প্রশাসক হিসেবে সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। দেশের ইতিহাসে একযোগে এতসংখ্যক জনপ্রতিনিধিকে অপসারণের নজির নেই।
অপসারণ করা জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে ১২ সিটি করপোরেশনের মেয়র, ৬০ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদের ৪৯৩ চেয়ারম্যান ও ৪৯৪ জন ভাইস চেয়ারম্যান-মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এবং ৩২৩ জন পৌর মেয়র রয়েছেন। তা ছাড়া দায়িত্ব থেকে সরানো হয়েছে ৭টি পৌরসভার প্রশাসককে। আর মৃত্যুজনিত কারণে একটি জেলা ও একটি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে।
অন্যদিকে পদ শূন্য হওয়া স্থানীয় সরকারের ৮৯৭ প্রতিষ্ঠানে প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। গতকাল সোমবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পৃথক প্রজ্ঞাপনে স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৪ অনুযায়ী এসব সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তী সরকার।
তবে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার কাউন্সিলর এবং জেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের (মেম্বার) বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। অবশ্য ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের অনুপস্থিতিতে প্যানেল চেয়ারম্যান এবং প্যানেল চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) দায়িত্ব পালনের অনুমতি দিয়ে পরিপত্র জারি করা হয়েছে।
এর আগে গত শুক্রবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ ‘স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’, ‘স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’, ‘জেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ এবং ‘উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’-এর খসড়া অনুমোদন করে। পরে এগুলো অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হয়।
ওই সংশোধনী অনুযায়ী বিশেষ পরিস্থিতিতে সরকার যদি জনস্বার্থে অত্যাবশ্যক বিবেচনা করে, তাহলে কোনো সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলরকে অপসারণ করতে পারবে।
একইভাবে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানদেরও অপসারণের ক্ষমতা থাকবে সরকারের। একইসঙ্গে সরকার এসব পদে প্রশাসক নিয়োগ দিতে পারবে।
সময় জার্নাল/এলআর