আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ব্রাসেলসে ন্যাটো সামিটে অংশ নেওয়ার এক ফাঁকে এই দুই প্রতিদ্বন্দ্বী নেতা রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন।
তুরস্কের সংবাদ সংস্থা ‘আনদোলু এজেন্সি’ ও ‘ডেইলি সাবাহর’ খবরে বলা হয়েছে, এরদোগান এবং ম্যাক্রোঁ দীর্ঘ ৫২ মিনিট বৈঠক করেন। সাক্ষাতে দুই নেতা উভয় দেশের সাধারণ স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন।
খবরে বলা হয়, বৈঠকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বেশ কিছু বিষয় নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেছেন। ম্যাক্রোঁ ইসলাম নিয়ে তার স্পষ্ট অবস্থান পরিষ্কার করেন। তবে ইসলাম প্রসঙ্গে ম্যাক্রোঁ ঠিক কি বলেছেন খবরে সেটা বলা হয়নি।
গত বছর ফ্যান্সের এই প্রেসিডেন্ট ইসলাম নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন। তিনি বলেছিলেন, “বিশ্বজুড়ে ইসলাম সংকটে পড়েছে, এমনকি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশেও এই ধর্মটি সংকটে। এই ধর্মটিকে এখন আমাদের সাহায্য করতে হবে যাতে তারা ফ্রান্স প্রজাতন্ত্রের অংশীদার হতে পারে।
ম্যাক্রোঁর এই বক্তব্যে বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় বয়। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর এমন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানান।
সোমবার বৈঠকে দুই নেতা লিবিয়া এবং সিরিয়ার বিষয় নিয়ে একত্রে কাজ করারও ঐক্যমতে পৌঁছান।
ন্যাটো সামিট সামনে রেখে গত শুক্রবার তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেছিলেন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর সঙ্গে তিনি পজিটিভি এবং নেগেটিভ বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন। অন্যদিকে, সাক্ষাতের আগে ম্যাক্রোঁ সাংবাদিকদের বলেছিলেন, মতের অমিল সত্ত্বেও এরদোগানের সঙ্গে তার আলোচনায় বসা জরুরি।
সাম্প্রতিক সময়ে তুরস্ক এবং ফ্রান্সের মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়। আঙ্কারা পূর্ব ভূমধ্যসাগর, সিরিয়া এবং লিবিয়ায় তাদের অবস্থান নিয়ে ফ্রান্সের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়ায়। তবে ন্যাটো জোটভুক্ত এই দুই দেশ গত ফেব্রুয়ারিতে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ইঙ্গিত দেয়।
সময় জার্নাল/আরইউ