নিজস্ব প্রতিনিধি:
ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে দেশের চলমান বন্যা পরিস্থিতি। এ পর্যন্ত ১১ জেলায় ১৫ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। পানিবন্দি অন্তত ৯ লাখ পরিবার।
ভারতীয় পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিতে ডুবে আছে দেশের অন্তত ১১ জেলার বহু মানুষ। কোথাও কোথাও পানি কমতে শুরু করলেও বেশিরভাগ এলাকায় বাড়ছে। বেশ কয়েকটি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে।
এখনও বহু মানুষ উদ্ধারের অপেক্ষায় রয়েছেন। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় কুলকিনারা পাচ্ছেন না তারা।
এদিকে, স্থানীয় স্কুল-কলেজ, মসজিদ, মাদরাসার মতো আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে বহু মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। সেখানে দেখা দিয়েছে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট।
বন্যাকবলিত মানুষদের সহায়তায় চলছে ত্রাণ সংগ্রহের কার্যক্রম। সেনা-নৌবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, রেডক্রিসেন্টসহ স্বেচ্ছাসেবীরা স্ব-উদ্যোগে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন এবং ত্রাণ বিতরণ করছেন।
সবচেয়ে বেশি ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ফেনী ও কুমিল্লায়। বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় বন্যাকবলিত এসব জেলায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে টেলিযোগযোগ সেবা। বিশেষ করে ফেনী জেলার অবস্থা বেগতিক। জেলাটির ৯০ শতাংশ মোবাইল টাওয়ার বিদ্যুৎ সংযোগ না পেয়ে অচল হয়ে পড়ায় টেলিযোগাযোগ সেবা থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন সেখানকার মানুষ। এতে উদ্ধার কাজ ও ত্রাণ তৎপরতা চালাতেও হিমশিম খাচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবকরা।
ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির মধ্যে শনিবার (২৪ আগস্ট) সকালে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, দুপুর ১টার মধ্যে খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়োসহ বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।
সময় জার্নাল/এলআর