খালেদ হোসেন টাপু, রামু প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের রামুতে বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। এবারের আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উপজেলার সহস্রাধিক পরিবার। পানি কমতেই ভেসে উঠছে ক্ষয়ক্ষতির দৃশ্য।
বিভিন্ন ইউনিয়নে পানির স্রোতে ভেঙে গেছে গ্রামীণ সড়ক। ভেসে গেছে অনেক ঘর-বাড়ি। নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে মসজিদ, কবরস্তান ও ফসলি ক্ষেত।
উপজেলা প্রশাসন জানায়, ফতেখাঁরকুল, জোয়ারিয়ানালা, কাউয়ারখোপ,গর্জনিয়া, কচ্ছপিয়া, রাজারকুল ও দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নে বন্যায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাকঁখালী নদীর অনুমান লিডার রুহুল আমিন বলেন, বৃহস্পতিবার সারাদিন বাকঁখালী নদীর পানি (৬.১৩ মিটার) বিপদসীমা অতিক্রম করেছিলো। শুক্রবার সকালে পানি কমতে শুরু করেছে। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পানি ৪.১৩ মিটারে কমে আসে।
এদিকে পানির স্রোতে নদীতে নিখোঁজ চারজনের মধ্যে তিন জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গর্জনিয়া ইউনিয়নের জুমছড়ি গ্রামের আমজাদ হোসেন (২২) ও ঈদগড় ইউনিয়নে নদীতে ভেসে যাওয়া সাচিং রাখাইন (৩০) লাশ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার সকালে গর্জনিয়া জুমছড়ি এলাকার বাসিন্দা রবিউল আলমের (২৫) লাশ পাওযা যায় মাঝিরকাটা এলাকায়। তবে এখনো পর্যন্ত সন্ধান মেলেনি ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের লম্বরীপাড়া এলাকার নুরুল কবিরের ছেলে রাজ উদ্দিন জুনাঈদের (১০)।
তিনজনের লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে রামুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রাশেদুল ইসলাম বলেন, মৃত্যুর বিষয়টি খুবই দুর্ভাগ্যজনক। এদের মধ্যে একজন শিশু এখনো নিখোঁজ। জেলা প্রশাসন থেকে তিন পরিবারের মাঝে ২৫ হাজার টাকা করে সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
সময় জার্নাল/এলআর