সময় জার্নাল ডেস্ক:
আমরা সাধারণত ৫ আগস্টের পরের সমস্ত সাহসিকতার ঘটনা যেগুলো দেখেছি অধিকাংশই ঢাকা কেন্দ্রিক। তবে দেশের আনাচে-কানাচে আছে এমন অনেক সেনা যারা দেশের মানুষকে ভালবাসে এবং ভালোবাসে এই দেশকে। আজ তাদেরই একজনের গল্প উল্লেখ করছি আপনাদের সাথে। ঘটনাটি ঘটেছে নীলফামারী শহরে সময় ৫ আগস্ট দিবাগত রাত।
নীলফামারী শহরে নির্যাতিত নিপীড়িত এবং সুবিধা বঞ্চিত মানুষগুলো যখন অধিকারের আশায় গভীর রাতে রাস্তায় আহাজারি করছিল ঠিক তাদের মাঝে যেন অভিভূত হলেন একজন ফেরেশতা। তিনি একজন সেনা কর্মকর্তা তার নাম মেজর জুনায়েদ।
নীলফামারীর অত্যন্ত সরল সোজা মানুষগুলো যখন এ মানুষটিকে কাছে পেয়ে তাদের সকল দুঃখ কষ্টের কথা তুলে ধরছিল। তখন এই সেনা কর্মকর্তা তাদের মাঝে কঠোরতা ভেঙ্গে অত্যন্ত নমনীয় হয়ে তাদের ভেতরে আসা জাগিয়ে তুলেছিল।
এই ছাত্র জনতা আবাল বৃদ্ধ বনিতা মানুষের মাঝে তিনি গল্প করছিলেন এক নতুন সুন্দর স্বপ্নীল বাংলাদেশের।
নীলফামারীর এই আপামর জনতাকে উনি সম্বোধন করেছিলেন বাংলাদেশের সন্তান আর প্রশাসনের মানুষকে তিনি সম্মোধন করেছিলেন এই সন্তানের পিতা-মাতা।
অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে তিনি সবাইকে এক কাতারে নিয়ে নিজের জীবনের বিনিময়ে সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন।
এই আপামর জনতা এবং প্রশাসনকে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা প্রদানের নিশ্চয়তা দিয়ে তিনি সকলের মন জয় করেছিলেন এবং মানুষের সান্নিধ্যে সকলকে নতুন বাংলাদেশ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। যার প্রেক্ষিতে নীলফামারী শহরের প্রশাসনের সকল ব্যক্তিগণ এই নিপীড়িত এবং নির্যাতিত মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল এবং তাদের দুঃখ মোচনের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিল।
রংপুর সেনানিবাসে কর্মরত সদা হাস্যজ্জল এবং কর্মঠ মেজর জুনায়েদ, এই ব্যক্তিটিকে দেখে সকলের যেন মনে হয়েছিল একজন সাক্ষাৎ ফেরেশতা তাদের সামনে হাজির হয়েছে। আমরা চাই বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে যেন এমন মেজর জুনায়েদ জন্ম হয়। আমরা চাই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রত্যেকটি অফিসার যেন মেজর জোনায়েদ হয়।
৫ ই আগস্ট পর্যন্ত আহত ছাত্রদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ক্ষতিপূরণ, আগুনে ভস্ম হয়ে যাওয়া লোনের টাকার দোকান,
পুড়ে ভস্ম হয়ে যাওয়া ট্রাক্টর গাড়ির, লুট হয়ে যাওয়া কাপড় ও অন্যান্য তৈজসপত্র জিনিসের দোকানদারের ক্ষতিপূরণ এসব কিছুর নিশ্চিত প্রতিশ্রুতি প্রদান করা হয় এই রাতে জেলার অভিভাবকদের মাধ্যমে। নীলফামারী জেলায় গত ১৬ বছরে এমন কোন ঘটনা হয়েছে কিনা নজিরবিহীন।
বাংলাদেশকে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। আরে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি জেলায় প্রত্যেকটি থানায় যেন এমন মেজর জুনায়েদ জন্ম নেয় এটাই আমাদের প্রত্যাশা নতুন স্বপ্নের বাংলাদেশের।
এমআই