নিজস্ব প্রতিবেদক:
টানা বৃষ্টি ও বন্যার নেতিবাচক প্রভাব কাটিয়ে অনেকটাই স্থিতিশীল সবজির বাজার। এতে অনেকটাই স্বস্তিতে ক্রেতারা। তবে বিপত্তি দেখা দিয়েছে মাছের বাজারে। প্রায় সব ধরনের মাছের দামই বাড়তি দেখা গেছে।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) রাজধানীর মগবাজার ও মালিবাগ এলাকার বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
বাজারে প্রতি কেজি পটল বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়, শসা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, টমেটো ১৬০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, মূলা ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কাঁচা মরিচ ২৫০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, কচুর মুখী ৮০ টাকা, করলা আকার ও প্রকার ভেদে ৭০ থেকে ৮০ টাকা, গাজর ৮০-৯০ টাকা এবং আলু ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রয় হচ্ছে।
এছাড়া লেবুর হালি ২০ টাকা, কচুর লতির আটি ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা (কাটা অংশ), লাউয়ের পিস ৬০ টাকা, কাঁচকলার হালি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তবে সবজির বাজার স্থিতিশীল থাকলেও ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে মাছের বাজারে। প্রায় সব ধরনের মাছ গত সপ্তাহের তুলনায় বাড়তি বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা। কেজি হিসেবে কাতলা ২৩০, রুই ২৮০-৩০০, পাঙ্গাস আকারের ভিত্তিতে ২২০-২৫০, পাবদা ৪৫০-৫০০ টাকা কেজি, লইট্টা ৩৫০, বাটা মাছ ৪০০, তেলাপিয়া ২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া টেংরা প্রতি কেজি ৫৫০-৬০০ টাকা, চিংড়ি ৬৫০-৭০০ টাকা, বোয়াল ৭৫০-৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইলিশের নাম কমার বিষয়ে নানা কথা শুনা গেলেও বাজারের চিত্র কিছুটা ভিন্ন। প্রতি কেজি ইলিশ ১৪০০-১৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে আকারে ছোট ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ১০০০ হাজার টাকায়।
এদিকে বাজারে সবজির দাম স্থিতিশীল থাকায় স্বস্তি প্রকাশ করলেও মাছের দাম নিয়ে অভিযোগ রয়েছে ক্রেতাদের। এক ক্রেতা জানান, সবজির দাম বাড়েনি তবে আশা অনুযায়ী কমেওনি। নতুন সরকারের সময়ে সিন্ডিকেট ভেঙে নিত্যপণ্যের দাম কমার আশায় ছিলাম। কিন্তু এখনও সিন্ডিকেট রয়ে গেছে মনে হচ্ছে। বিশেষ করে নির্দিষ্ট বাজার কেন্দ্রিক।
এমআই