সেলিম আহমেদ, সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার কৈতক হাসপাতালে নার্সদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস ও সেবা প্রদানের নামে টাকা আদায় না করতে নির্দেশ প্রদান করায় ফুঁসে উঠলেন সিনিয়র নার্স আমিনা নাহিদ ও কৃষ্ণা রানী দাস। এমনকি দুর্নীতি রোধে হাসপাতালে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিলে ক্ষেপে গিয়ে হাসপাতালে আবাসিক চিকিৎসেকর বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছেন তারা। সরকারী নীতিমালার তৌয়াক্ষা না করেই মানববন্ধনও করেছেন।
জানাযায়, ছাতক উপজেলার ২০ শয্যা বিশিষ্ঠ কৈতক হাসপাতালে সিনিয়র নার্স হিসেবে কর্মরত আছেন আমিনা নাহিদ ও কৃষ্ণা রানী দাস। স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী ও একই কর্মস্থলে দীর্ঘদিন থাকার সুবাধে অনিয়ম দুর্নীতি করে যাচ্ছেন তারা। সিনিয়র নার্স আমিনা গর্ভপাতের সময় রোগীদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেন। টাকা না দিলে অশালীন আচরন করেন। অপর নার্স কৃষ্ণা রানী দাস প্রাইভেট প্র্যাকটিস করেন হাসপাতালে। সরকারী বিধিমালা অম্যান্য করেই টাকার বিনিময়ে রোগী দেখেন। এমনকি ডাক্তারে স্বাক্ষর ছাড়াই রোগীদের ছাড়পত্র দিয়ে আসছিলেন।
এসব অভিযোগ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসকের কাছে আসলে তিনি সিসি ক্যামেরা স্থাপন এবং নার্সদের নোটিশ প্রদান করেন। তারা নোটিশের কোন পাত্তা না দিয়ে সরকারি অফিসার আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ মোজাহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালান এবং মানববন্ধন করেন।
জাউয়াবাজার গ্রামের আলাউর রহমান বলেন, আমিসহ আমার বাড়ীতে ১২ জন করোনা রোগী ছিল। ডাঃ মোজাহারুল ইসলাম বাড়ি গিয়ে চিকিৎসা
দিয়েছেন। তিনি করোনাকালে গ্রামে গ্রামে গ্রামে গিয়ে চিকিৎসাসেবা দিয়েছন। উনি একজন মানবিক ডাক্তার।
অপর এক সিএনজি চালক জানান, ডাঃ মোজাহারুল স্যার খুব ভাল মানুষ। যখনই চিকিৎসার জন্য যাই তিনি ভাল ব্যবহার করেন। কারো কাছ থেকে কোন বিনিময় নেন না। প্রতিদিন শতিনেক রোগী দেখে থাকেন তিনি। স্বার্থের আঘাত পড়ায় মানবিক এ ডাক্তারের বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে নার্সরা।
সিনিয়র নার্স আমিনা নাহিদ ও কৃষ্ণা রানী দাস জানান, আমাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সঠিক নয়।
চিকিৎসক ডাঃ মোজাহারুল ইসলাম বলেন, আমি সততার সাথে অর্পিত দায়িত্ব পালন করে আসছি। এক পয়সার দুর্নীতিও কেউ
প্রমাণ করতে পারবেনা। সেবিকাদের অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদ করেছি। এবং লিখিতভাবে নির্দেশনাও দিয়েছি। অনিয়ম প্রতিরোধে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এরপর থেকেই তাদের স্বার্থের আঘাত পড়ায় আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে।
সময় জার্নাল/এমআই