মো. মোস্তাফিজুর রহমান রিপন, ঝালকাঠি প্রতিনিধি:
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. সেলিম গাজীর নামে অপপ্রচারকারী কুশঙ্গল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক (পদ স্থগিত) শাকিল হাওলাদারকে দল থেকে বহিস্কারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে ঝালকাঠির নলছিটি প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান কুশঙ্গল ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. সরোয়ার হোসেন খান। তিনি বলেন নলছিটি উপজেলা বিএনপিকে সুসংগঠিত করে রেখেছেন সাধারণ সম্পাদক সেলিম গাজী। অথচ তাঁর বিরুদ্ধে একজন ইউনিয়ন বিএনপি নেতা হয়ে শাকিল হাওলাদার অপপ্রচার চালাচ্ছে। শাকিল হাওলাদারকে আওয়ামী লীগের দালাল বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কুশঙ্গল ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. সরোয়ার হোসেন খান। তিনি অভিযোগ করেন, শাকিল হাওলাদার আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের সময় বিএনপির পদ পেয়েও নিস্কৃয় ছিলেন। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তছলিম উদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে প্রচারণায় সরব ছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে ভাগে ব্যবসা করেছেন। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হলে তিনি ও তাঁর ভাই ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জিয়াউর রহমান সাইফুল আবার বিএনপির নাম ভাঙিয়ে নানা অপকর্ম করে যাচ্ছেন।
তাঁর আরেক ভাই ফয়সাল হোসেন পান্না ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছেন। শাকিলের নির্দেশে তাঁর ভাই ও স্বজনরা আওয়ামী লীগের দালালদের নিয়ে সাধারণ মানুষের বাড়ি-ঘর পুড়ে ফেলার হুমকি দিয়ে আসছেন। শাকিল ইউনিয়ন যুবদল নেতা দুলাল খান ও শহিদ হাওলাদারের নামে সংবাদ সম্মেলন করে মিথ্যা গুজব রটিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের এই দালালকে দল থেকে বহিস্কারের দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
উল্লেখ্য দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে গত ৩১ আগস্ট রাতে নলছিটি উপজেলা বিএনপি শাকিল হাওলাদারের ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের পদ স্থগিত করেন। এ ঘটনায় শাকিল হাওলাদার ৩ আগস্ট নলছিটি প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তার পদ স্থগিতের জন্য উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সেলিম গাজীকে দায়ি করেন। এমনকি তাঁর বিরুদ্ধে চাঁদা দাবিরও অভিযোগ করেন শাকিল।
সংবাদ সম্মেলনে কুশঙ্গল ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক দুলাল খান, ইউনিয়ন বিএনপির দপ্তর সম্পাদক শফিকুল ইসলাম খোকন, কৃষক দলের সভাপতি হাবিবুর রহমানসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সময় জার্নাল/এলআর