বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

ফরিদপুরের হাজী শরিয়তুল্লাহ বাজারের মাছ ব্যবসায়ীরা ধর্মঘটে

মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৪
ফরিদপুরের হাজী শরিয়তুল্লাহ বাজারের মাছ ব্যবসায়ীরা ধর্মঘটে

এহসান রানা,  ফরিদপুর প্রতিনিধি: 

ফরিদপুর পৌরসভা থেকে হাজী শরিয়তুল্লাহ বাজারের খোলা বাজারে মাছের খুচরা ব্যবসায়ীদের শতকরা সাত টাকা হারে খাজনা পরিশোধের নোটিশ দেয়ার প্রতিবাদে মাছ কেনা বেচা বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। এতে অনেক বিপাকে পড়েছেন আড়তদারসহ ক্রেতারা। 

 ইজারাদার প্রতিনিধি জানায়, পৌরসভার নোটিশ অনুযায়ী তারা আইনগতভাবেই খাজনা তোলার চেষ্টা করছিলেন। আর নোটিশ প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের দাবী বিধি সংগতভাবেই নোটিশ প্রদান করা হয়েছে ইজারাদারের আবেদনের প্রেক্ষিতে। যদিও মাছ কেনা বেচা বন্ধের বিষযে কিছু জানেনা বলে জানিয়েছেন পৌর প্রশাসক, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক চৌধুরী রওশন ইসলাম।

জানা যায়, হাজী শরিয়াতুল্লাহ বাজারের ট্রেড লাইসেন্সধারী মৎস্য আড়তের ব্যবসায়ীরা টোলের আওতামুক্ত এবং পাইকারী ক্রেতা বা খুচরা ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে নির্ধারিত হারে (শতকরা সাত টাকা) টোল আদায়ের নোটিশ ০৮ সেপ্টেম্বর প্রদান করা হয়। নোটিশ অনুযায়ী ইজারাদার কর্তৃপক্ষ ১০ সেপ্টেম্বর থেকে খাজনা তোলার ঘোষনা দিলে মঙ্গলবার সকাল থেকেই মাছ কেনা বেচা বন্ধ করে দেন পাইকারী ক্রেতা/খুচরা ব্যবসায়ীরা। তারা পুর্বের নিয়মে খাজনা পরিশোধ না করা হলে মাছ কেনা বেচা করবেন না বলে ও জানা যায়। 

সরেজমিনে গেলে পাইকারী ক্রেতা বা খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, ইতিপুর্বে শতকরা তিন টাকা খাজনা আড়তদারদের পক্ষ থেকে পরিশোধ করা হতো। খুচরা ব্যবসায়ীরা চাটাই ভাড়া দৈনিক ৭০ টাকা পরিশোধ করতো। তারা আরো জানান, বর্তমান নিয়ম চালু হলে মাছের মূল্যের উপরে প্রভাব পড়বে। এতে ক্রেতার অসন্তোষ সৃষ্টি হবে। তারা মনে করেন, এমনিতেই মাছের বাজার উদ্ধমূখী, এই পরিস্থিতিতে নতুর নোটিশ অনুযায় মাছের মূূল্য আরো বাড়াতে হবে, ফলে ক্রেতার সাথে বিক্রেতাদের সম্পর্কের অবনতির আশংকা তাদের। তাই এ সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত মাছ কেনা বেচা বন্ধ রাখা হবে বলে জানান তারা।

এদিকে সকাল থেকে মাছ না কেনায় বিপাকে পড়েছেন আড়তদারেরা। অন্তত অর্ধকোটি টাকার মাছ নষ্ট হয়ে যাওয়ার শংকায় শংকিত তারা। আড়তদারদের দাবী, মাছের উর্দ্ধ মূল্যের বাজার নিয়ন্ত্রনে মাছের বাজার থেকে খাজনা প্রত্যাহারের। আর মাছ বেচাকেনা বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। মাছ কিনতে এসে ফিরে যেতে হচ্ছে তাদের। দ্রুত এ সংকট নিরশনের দাবীও তাদের।


বাজারের ইজারাদারের প্রতিনিধি জানান, পৌরসভার নির্ধারিত হারেই খাজনা তোলার চেষ্টা করতেরই পাইকারী ক্রেতা/খুচরা ব্যবসায়ীরা ধর্মঘট শুরু করেছে।

এ ব্যাপারে  ফরিদপুর পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক চৌধুরী রওশন ইসলাম জানান, খাজনা তোলা নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হওয়ায় আইন সঙ্গতভাবেই খাজনা তুলতে নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। যদিও মাছ কেনা বেচা বন্ধের বিষয়ে তিনি কিছু জানেনা বলে জানান। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

উল্লেখ্য, ফরিদপুরের হাজী শরিয়তুল্লাহ বাজারে সাড়ে তিন শতাধিক পাইকারী ক্রেতা রয়েছেন। যারা প্রতিদিন  অর্ধ কোটি টাকার মাঠ কেনা বেচা করেন। 

সময় জার্নাল/এলআর


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল