নিজস্ব প্রতিবেদক:
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হস্তক্ষেপে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে ক্ষমা পাওয়া আরও ২৬ বাংলাদেশি দেশে ফিরে এসেছেন। এ নিয়ে দুই দফায় আমিরাত থেকে ৪২ জন দেশে ফিরলেন।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তারা।
ওয়েজ আর্নাস কল্যাণ বোর্ডের ডেপুটি ডিরেক্টর মো. শরিফুল ইসলাম তাদের দেশে ফেরার খবর নিশ্চিত করে জানান, স্বজনদের এ ব্যাপারে আগেই জানানো হয়েছিল। সেই অনুযায়ী তাদের বিমানবন্দরে স্বাগত জানানো হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভ করায় ৫৭ বাংলাদেশিকে কারাদণ্ড দিয়েছিল দেশটি। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর এ ব্যাপারে আমিরাতের কাছে অনুরোধ জানায়। সেই অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে দেশটি গত ৩ সেপ্টেম্বর ৫৭ জন প্রবাসী বাংলাদেশিকে ক্ষমার ঘোষণা দেয়। ক্ষমা পেয়ে গত ৭ সেপ্টেম্বর দেশে আসেন ১৪ জন।
এদিকে অনুরোধ রক্ষা করায় গত ৩ সেপ্টেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে চিঠি লেখেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। চিঠিতে তিনি লেখেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের কয়েকটি শহরে বিক্ষোভের মাধ্যমে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ছাত্র-গণবিপ্লবের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশকারী ৫৭ জন বাংলাদেশিকে ক্ষমা করার উদার সিদ্ধান্তের জন্য আপনার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা। আমাদের টেলিফোন কথোপকথনের পর এই ক্ষমাশীলতা শুধুমাত্র আপনার সহানুভূতিশীল নেতৃত্বের উদাহরণই দেয় না বরং আমাদের দুই দেশের মধ্যে ভ্রাতৃত্বের স্থায়ী বন্ধনকে শক্তিশালী করার জন্য একটি বাহক হিসেবে কাজ করে।
বাংলাদেশের সরকারপ্রধান আরও লেখেন, তাদের সাজা বাতিল করার জন্য আপনার উদার সিদ্ধান্ত, বিশেষ করে জড়িতদের পরিবার ও দেশবাসী এবং সাধারণভাবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আমাদের কমিউনিটির কাছে গভীর স্বস্তি ও প্রশংসা পেয়েছে। সত্যিই, আপনার সহানুভূতি আমাদের গভীরভাবে স্পর্শ করেছে। এই প্রেক্ষাপটে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের আইনের প্রতি আমাদের পূর্ণ সম্মান প্রকাশ করছি এবং আমাদের নাগরিকদের বাংলাদেশ থেকে যাওয়ার আগে স্বাগতিক দেশগুলির স্থানীয় আইন ও সংস্কৃতি সম্পর্কে শিক্ষিত করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।
এমআই