অ আ আবীর আকাশ, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:
টানা বৃষ্টি,নদীতে জোয়ার ও পৃথিবী উষ্ণায়নের ফলে বরফের পাহাড় গলে সাগর ও নদীতে পানি বাড়ার আভাসে উপকূলীয় আট জেলার নিম্নাঞ্চলের মানুষের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর জেলার কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।
ভারি বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রাম, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের নদীর পানি বাড়তে পারে বলে আভাস দিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
আবহাওয়া সংস্থাগুলোর বরাত দিয়ে শনিবার কেন্দ্রের নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, উজানে ভারি বৃষ্টির কারণে আগামী ২৪ ঘণ্টা চট্টগ্রাম বিভাগের নদীর পানি দ্রুত বাড়তে পারে।
এতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর জেলার কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।
আর ঢাকা, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের নদীর পানি স্থিতিশীল থাকলেও ভারি বৃষ্টির কারণে আগামী দুই দিন এই তিন বিভাগের নদীর পানি বাড়তে পারে।
শনিবার সকালে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়ে বর্তমানে যশোর ও এর আশেপাশের এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি ঝরছে। তবে রোববার থেকে বৃষ্টি কমে আসবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বাংলাদেশের উজানে পাহাড়ি ঢল আর অতি ভারি বৃষ্টির কারণে গত ২০ অগাস্ট থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়। দ্রুতই তা ছড়িয়ে যায় ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, লক্ষ্মীপুর ও কক্সবাজারে।
বুলেটিনে বলা হয়, চট্টগ্রাম বিভাগের মুহরী, ফেনী ও মাতামুহুরী নদীর পানি কমলেও; গোমতী নদীর পানি স্থিতিশীল আছে। অন্যদিকে হালদা ও সাঙ্গু নদীর পানি বাড়ছে।
তবে দেশের সব প্রধান নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পূর্বাভাস কেন্দ্রের বুলেটিনে বলা হয়, ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি স্থিতিশীল; অন্যদিকে যমুনা নদীর পানি কমছে। আগামী ৫ দিন ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পানি ধীর গতিতে কমতে পারে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
গঙ্গা নদীর পানিও স্থিতিশীল আছে, তবে পানি কমছেপদ্মা নদীর। আগামী ৩ দিন গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি স্থিতিশীল থাকতে পারে এবং পরবর্তী ২ দিন পানি কমে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
পূর্বাভাস কেন্দ্র বলছে, রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি স্থিতিশীল আছে। আগামী ৩ দিন এসব নদীর পানি ধীর গতিতে কমে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
আর সিলেট বিভাগের সুরমা ও কুশিয়ারা, মনু, সারিগোয়াইন, ধলাই নদীর পানি কমছে। তবে খোয়াই নদীর পানি স্থিতিশীল আছে। আগামী ৩ এসব নদীর পানি কমতে পারে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে, বলা হয় বুলেটিনে ।
সময় জার্নাল/এলআর