হিলি প্রতিনিধি:
ঘোষণার চারদিন পর মঙ্গলবার বিকেল থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে নতুন মুল্য ও শুল্কের পেঁয়াজের আমদানি শুরু হয়েছে।
শুক্রবার পেঁয়াজ রফতানির নুন্যতম মূল্য ৫৫০ থেকে কমিয়ে ৪০৫ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করে ভারত। সেই সাথে পেঁয়াজের রফতানি শুল্ক ৪০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়।
ঘোষণার চারদিন অতিবাহিত হলেও ভারতের কাস্টমসের সার্ভারে শুল্ক ও মূল্যের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় পেঁয়াজ আমদানি করতে পারছিলনা আমদানিকারকরা।
মঙ্গলবার বিকেলে ভারতের কাস্টমসের সার্ভারে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর বিকেল ৫ টা থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়। এদিন চারটি ট্রাকে ১২৩ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি হয় এই বন্দর দিয়ে।
হিলি স্থলবন্দরের পেয়াজ আমদানিকারক মামুনুর রশিদ বলেন, গত শুক্রবার পেয়াজ রফতানিতে শুল্ক ৪০ থেকে কমিয়ে ২০ ভাগ করে ভারত। একইসাথে পেয়াজের রফতানি মুল্য ৫৫০ ডলার থেকে কমিয়ে ৪০৫ ডলার করে। এরপরে আমরা ভারত থেকে পেয়াজ আমদানি করতে পুর্বের বাড়তি মুল্যে করা এলসিগুলো সংশোধন করাসহ সকল প্রস্তুতি নেয়। কিন্তু শুল্ক কমানোর বিষয়টি ভারতীয় কাস্টমসের সার্ভারে আপডেট করা হয়েছিলনা। যার কারনে কমশুল্কের পেয়াজ আমদানি শুরু করতে পারিনি। আজ মঙ্গলবার বিকেলে ভারতীয় কাস্টমসে শুল্কহার কমার বিষয়টি আপডেট করা হয়। যার কারনে বিকেল থেকে বন্দর দিয়ে কম শুল্কের পেয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। তবে শুল্ক কমালেও ভারতে দাম বাড়ানোয় দেশের বাজারে দামের উপর তেমন প্রভাব পড়বেনা। তবে দুচারদিন গেলে ভারতে দাম কমে আসবে সেক্ষেত্রে আমদানি বাড়ার সাথে সাথে দাম কমে আসবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।বর্তমানে আমদানিকৃত পেয়াজ ৮০থেকে ৮৫ টাকার মধ্যে থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এমআই