মুরাদ হোসেন, হাবিপ্রবি:
প্রতিষ্ঠার ২৫ বছরেও পরিবর্তন হয়নি দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় পোস্ট অফিসের চারটি সিলমোহর। একইসাথে তৎকালীন দিনাজপুর কৃষি কলেজের নামেই চলছে প্রায় সকল কার্যক্রম।
কৃষি কলেজ বিলুপ্তির ঘোষণা দিয়ে হাবিপ্রবি বিশ্ববিদ্যালয় আইন (২০০১) এর ৫৯ ধারায় বলা হয়েছে, কৃষি কলেজ, অতঃপর বিলুপ্ত কলেজ বলিয়া উল্লিখিত, বিলুপ্তি হইবে। একইসাথে ৫৯(ক) ধারায় বলা হয়েছে - বিলুপ্ত কলেজের সকল প্রকার বিষয় সম্পত্তি, ক্ষমতা, অধিকার ও দায়-দেনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয় সম্পত্তি, ক্ষমতা, অধিকার ও দায়-দেনা বলিয়া গণ্য হইবে; তবে পোস্ট অফিস সরকারি সম্পত্তি হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্বতায় নতুন নামে কার্যক্রম শুরু করার এখতিয়ার রাখেনা বলে ব্যবস্থা গ্রহণের পরে বিভিন্ন কারণে এতদিনেও নাম পরিবর্তন করা যায়নি।
পোস্ট অফিসটির পোস্ট মাস্টার বিদ্যুৎ কুমার রায় জানান, অনেকদিন ধরেই বিষয়টি নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিগত প্রশাসনকে জানানো হয়েছিল এবং তারা জেলা ডাক অফিসে যোগাযোগও করেছিলেন।
রংপুর বিভাগীয় অতিরিক্ত জেনারেল (ইন্সুইরেন্স) প্রদীপ কুমার জানান, তিনি দিনাজপুরে ডেপুটি পোস্ট মাস্টার জেনারেল থাকাকালীন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অফিসটাকে আপগ্রেড করার প্রস্তাবনা দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে তার বদলিজনিত কারণে বিষয়টির সাথে সংশ্লিষ্ট না থাকায় আপগ্রেডের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেননি।
সিলমোহর পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী সাদমান বলেন, আমাদের পরিচয় বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে। আমাদের চিঠিপত্রের ঠিকানা এবং রেজিস্ট্রেশন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম খচিত সিলমোহর দিয়েই হোক।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ তম ব্যাচের কয়েকজন প্রাক্তন শিক্ষার্থী জানান, তাদের সময়ে ডাক বিভাগের সকল কার্যক্রম তৎকালীন কৃষি কলেজের নামেই চলতো। এখনো পরিবর্তন হয়নি জেনে আশাহত হয়েছি। দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে কার্যক্রম শুরু হোক এই প্রত্যাশা করি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক জানান, নিয়মিত বিভিন্ন কাগজপত্রের আদান প্রদানের সুবিধার্থে তারা এই পোস্ট অফিসটি ব্যবহার করেন। তবে পোস্ট অফিসের কার্যক্রম কৃষি কলেজের নামে দেখে খারাপ লাগে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে যেকোনো কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম দিয়েই হওয়া উচিৎ।
সিলমোহর সহ নাম পরিবর্তন করা সম্ভব কিনা এমন প্রশ্নে দিনাজপুর জেলা ডাক বিভাগের ডেপুটি পোস্ট মাস্টার জেনারেল মো. মোজাম্মেল হক বলেন, সিল পরিবর্তন যেকোনো সময়ই করা যায়। আমরা বিষয়টি দেখবো। আমি আজই দপ্তরে যোগাযোগ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে কার্যক্রম শুরু করানোর জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এদিকে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করে দ্রুতই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. শামসুজ্জোহা।
এমআই