মো. মাইদুল ইসলাম:
অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পেলেন সরকারি তিতুমীর কলেজের বিভিন্ন বিভাগের ১৯ সহযোগী অধ্যাপক।
এদের মধ্যে রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও দর্শন বিভাগ থেকে তিনজন, ব্যবস্থাপনা, ভূগোল ও ইসলামের ইতিহাস বিভাগ থেকে দুজন এবং গণিত, প্রাণিবিজ্ঞান, বাংলা, মনোবিজ্ঞান, হিসাববিজ্ঞান, রসায়ন ও সমাজকর্ম বিভাগ থেকে একজন অধ্যাপক হয়েছেন।
বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারে একসঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ের সহযোগী অধ্যাপক পর্যায়ের ৯২২ জন কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিয়ে অধ্যাপক করা হয়েছে। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ।
সরকারি তিতুমীর কলেজ থেকে পদোন্নতি পাওয়া শিক্ষকরা হলেন,
- প্রফেসর শাহনাজ পারভীন, গণিত
- প্রফেসর মো. সালাহ্ উদ্দীন, ব্যবস্থাপনা
- প্রফেসর এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার, রাষ্ট্রবিজ্ঞান
- প্রফেসর ফাতেমা ইয়াসমিন, প্রাণিবিদ্যা
- প্রফেসর সাজিয়া আফরিন,মনোবিজ্ঞান
- প্রফেসর দিলসাদ জেসমিন,রসায়ন
- প্রফেসর নাসির উদ্দিন,রাষ্ট্রবিজ্ঞান
- প্রফেসর ফাতেমা বেগম,রাষ্ট্রবিজ্ঞান
- প্রফেসর মাহফুজা বেগম,দর্শন
- প্রফেসর ফরিদা ইয়াসমিন,দর্শন
- প্রফেসর মো. দেলোয়ার হোসেন,হিসাববিজ্ঞান
- প্রফেসর সুলতানা নাসরিন শেলী,বাংলা
- প্রফেসর লায়লা ইয়াসমিন, দর্শন
- প্রফেসর এস এম আতিকুজ্জামান, ব্যবস্থাপনা
- প্রফেসর রোজিনা ইয়াসমিন, ইস. ইতিহাস
- প্রফেসর ছালেহ শেখ,ইস. ইতিহাস
- প্রফেসর মুর্শিদা জাহান,সমাজকর্ম
- প্রফেসর নাহিদ সুলতানা,ভূগোল
- প্রফেসর দিলরুবা আঞ্জুমান, ভুগোল
পদোন্নতি পাওয়ার অনুভূতি জানতে চাইলে গণিত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক শাহনাজ পারভীন বলেন, অনেক অনুভূতি আছে যা প্রকাশ করা যায় না। শুধু অনুভব করা যায়। শুধু অনুভব করতে হয়। প্রচন্ড তাপদাহের পর বৃষ্টিস্নাত সকাল যেমন পবিত্রতার আনন্দ অনুভূতি দেয়। হঠাৎ বাতাসের সাথে গোলাপ বা রজনীগন্ধা ফুলের সুবাস যেমন মন আনন্দ করা অনুভূতি দেয় তেমনি আনন্দ অনূভব করছি।
চাকুরী জীবনে প্রবেশ করেছি ১৯৯৮ সালের ২২ শে ফেব্রুয়ারীতে। এখন কত বছর। চাকুরীর করে অধ্যাপক পদবী ব্যবহার করতে পারা জীবনের এক পরম পাওয়া।
পদোন্নতি পাওয়ার অনুভূতি জানতে গিয়ে অধ্যাপক মো. সালাহ্ উদ্দীন বলেন, কর্মজীবনের শেষ ধাপে উন্নীত হওয়া একটি বড় পুরস্কার। এটি পাওয়ার সুযোগ অনেক সময় সকলের হয়ে ওঠেনা। সততা, ন্যায়পরায়ণতা ও কর্তব্য নিষ্ঠাকে সাথে নিয়ে এগোলে এটি সহজসাধ্য হয়। অবশ্য কখনো ভুল তথ্য পেয়ে কেউ কেউ বিভ্রান্ত হয়ে পিছনে টানার চেষ্টা করে থাকতে পারে। তবে চূড়ান্ত বিচারে সকলেই আমার সততা, ন্যায়পরায়ণ ও দায়িত্ববোধের প্রতি সমর্থন দিয়েছেন। বস্তুত কোন বিরুপ শক্তি কাউকে পদদলিত করে রাখতে পারেনা, কোন বাধাই অগ্ৰগতির পথ রূদ্ধ করতে পারে না, যদি বিশ্বস্রষ্টা সহায় হন। মহান আল্লাহ আমাকেও পিছিয়ে রাখেননি। সকলের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। সামনের দিনগুলোতে যেন এগিয়ে চলতে পারি সেজন্য সকলের দোয়া প্রার্থনা করি।
ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানের পর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যে পরিবর্তন এসেছে তার সুফল পেতে শুরু করেছে শিক্ষা ক্যাডার। একসাথে ১৬,১৭, ১৮ ও ২০ এমন চার চারটি ব্যাচের একত্রে পদোন্নতির ঘটনা এবারই প্রথম। সংখ্যায়ও এটি সবচেয়ে বেশি।শিক্ষা ক্যাডারের জন্য আজকের দিনটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে। পদোন্নতি প্রদানে সবসময়ই মাননীয় শিক্ষা উপদেষ্টা মহোদয়ের ইতিবাচক মনোভাব ছিল। তিনি বারবার বলেছেন, আমাকে কিছুটা সময় দিন আমি বিষয়টি বিবেচনা করবো। সচিব স্যার সকলের কথা শোনেন, সম্মান করেন। পদোন্নতির ক্ষেত্রে তার আন্তরিকতা ছিল অসীম। মহাপরিচালক স্যারও ইতিবাচক ছিলেন। দ্রুত এবং বড় আকারে পদোন্নতি প্রদানে যুগ্ম সচিব (কলেজ) স্যার যারপরনাই চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন। বিসিএস সাধারণ শিক্ষা এসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন গ্ৰুপ ও ব্যক্তিবর্গ পদোন্নতির জোর চেষ্টা চালিয়েছেন। সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
সহযোগী অধ্যাপক পদের এসব কর্মকর্তাদের ২০১৫ সালের জাতীয় বেতন স্কেলে ৫০০০০-৭১২০০ টাকা বেতনক্রমে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দিয়ে পদায়ন করা হয়।
আদেশে বলা হয়, কর্মকর্তাদের আবশ্যিকভাবে তাদের পিডিএস লগইন করে অবমুক্ত ও যোগদান করতে হবে। ইনসিটু বা সংযুক্ত কর্মকর্তারা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিবর্তে সংযুক্ত কর্মস্থলের নির্ধারিত বেতন ও অন্যান্য ভাতা পাবেন।
এমআই