বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

বাকৃবি ঈশা খাঁ হলে সিট বাণিজ্য: ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ

বুধবার, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৪
বাকৃবি ঈশা খাঁ হলে সিট বাণিজ্য: ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ

সিদ্ধার্থ চক্রবর্তী, বাকৃবি প্রতিনিধি:

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ঈশা খাঁ হলে সিট বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। ৩৪ জন শিক্ষার্থী লিখিতভাবে অভিযোগ করেছেন, হলে সিট পেতে তাদের কাছ থেকে ২ লাখ ৩৪ হাজার টাকা আদায় করা হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন আবু রেজওয়ান-আল-রামীম, আরিফুল অনিক, আরিফুল ইসলাম পিয়াস, আদনান সামি, নাহিদ, আকাশ, সাইফ ও হাসিব।

অভিযোগকারীদের দাবি, হলে সিট পাওয়ার জন্য নিয়মিত ছাত্রলীগ নেতাদের অর্থ দিতে বাধ্য করা হয়, এবং একাধিকবার টাকা নেওয়া হলেও প্রতিশ্রুত সিট দেওয়া হয়নি। শুধু নতুন শিক্ষার্থীরাই নন, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসা স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীরাও একই ধরনের চাপে পড়েছেন।

সিট বাণিজ্যের অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আদনান সামী বলেন, সিট বানিজ্যের বিষয়ে আমি কিছু জানি না। হলে যারা উঠেছেন তাদের থেকে টাকা নিয়েছি এরকম কেউ বলতে পারবেন বলে আমি মনে করি না। হলে কারা সিট বানিজ্যে করত সেটিও আমার জানা নাই। আমি এই বিষয়ের সাথে কোনোভাবে যুক্তও না। হয়ত রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলাম জন্য আমার সাথে শত্রুতা করে নাম দেওয়া হচ্ছে। এগুলো সব ই মিথ্যা অভিযোগ।

অভিযুক্ত  কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদীয় ছাত্র সমিতির সাধারণ সম্পাদক অনিক বলেন, হলের সিট বানিজ্যের বিষয়ে আমার কোনো ধারণা নেই। হলের রাজনীতির সাথে আমি যুক্তও ছিলাম না। আমি অনুষদীয় রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলাম। হলে সিট দেওয়ার জন্য কারোর কাছে টাকা নিয়েছি বা আমার মাধ্যমে কাউকে হলে তুলেছি এরকম কোনো ঘটনা আমার মনে পড়ছে না। রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলাম এবং ১ম সারিতে থেকে রাজনীতি করেছি এটি সকলেই জানেন এবং দেখেছেন। অনেকেই ভাবেন যে রাজনীতি করা মানেই হলো সিট বানিজ্যের সাথে যুক্ত থাকা। একারণেই হয়ত আমার বিরুদ্ধে এসকল অভিযোগ দেওয়া হচ্ছে। তবে সিট বানিজ্যের সাথে আমি কোনোভাবেই যুক্ত নই।

অন্য অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। 

সিট বাণিজ্যের সাথে জড়িতদের শাস্তির বিষয়ে ঈশা খাঁ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক জিয়াউল হক বলেন, আমরা কাছে এখনও কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। তবে ঘটনা যদি সত্যি হয় তাহলে সিট বাণিজ্যের সাথে জড়িত সকলকে গনতদন্তের আওতায় নিয়ে আসা হবে। এ বিষয়ে হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।

সময় জার্নাল/এলআর


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল