স্পোর্টস ডেস্ক:
চেন্নাইয়ে বাংলাদেশ ভারত সিরিজ আজ থেকে শুরু হচ্ছে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। প্রথম টেস্টে বড় হারের পর এবার কানপুরে ভারতের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। এই টেস্টে কেমন করবে নাজমুল হোসেন শান্তর দল? ঘুরে দাঁড়াতে পারবে? পারবে নিজেদের সামর্থ্যের প্রমাণ দিতে? ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সকাল দশটায়।
কেউ কেউ পাকিস্তানকে ‘বাংলাওয়াশ’ করার পরপরই বলে ছিলেন, বাংলাদেশ এখন টেস্টেও ভালো খেলতে শিখে গেছে। এবং ভালো দলের কাতারে নাম লিখিয়েছে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে চেন্নাইতে ২৮০ রানের বিরাট পরাজয়ের পর সেই তাদের মুখেই ভিন্ন কথা। নাহ, বাংলাদেশ টেস্টে এখনো ভালো দল হয়ে উঠতে পারেনি।
যারা এমন বলছেন, তাদের সেদিন একহাত নিলেন তামিম ইকবাল। চেন্নাই টেস্টে বাংলাদেশের করুণ পরিণতির পর তামিম ইকবাল মিডিয়াকর্মীদের মুখের ওপর বলে দিলেন, আপনারাতো বলেছিলেন বাংলাদেশ জাতে উঠে গেছে। এখন কী বলবেন?
তামিমের সেই প্রশ্ন অমূলক নয়। সত্যিই তাই। আসলে পাকিস্তানের সঙ্গে ব্যাটিং ও বোলিং পারফরমেন্স দেখে যত উজ্জ্বল আর দুর্দান্ত দল মনে হোক না কেন, ভারতের সামনে চেন্নাইতে বাংলাদেশকে অতি সাধারণ মানের দল মনে হয়েছে। মেধা, স্কিল, টেকনিক, অ্যাপ্রোচ, অ্যাপ্লিকেশন ও পারফরমেন্সের নিরিখে বাংলাদেশ এখনো ভারতের মতো দলের চেয়ে যোজন যোজন পিছিয়ে।
আসলে টেস্টে ভালো দল হতে হলে পাড়ি দিতে হয় লম্বা পথ। বাস্তবে সত্যিই বাংলাদেশকে অনেক দীর্ঘ ও কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে। ভারতের মতো দলের সঙ্গে সমান তালে লড়তে শিখতে হবে। ভারতের মাটিতে ভারতীয় বোলার ও ব্যাটারদের সঙ্গে পাল্লা দিতে জানতে হবে।
যেটা চেন্নাইতে পারেনি শান্তর দল। কানপুরে কি তা পারবে? চেষ্টাটা তো অবশ্যই করতে হবে। পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জয় যে অঘটন ছিল না, সেটা প্রমাণ করতে নিদেনপক্ষে ভারতের বিপক্ষে লড়াই করতে হবে টাইগারদের।
কানপুরে শান্ত বাহিনীর শরীরী ভাষা, অভিব্যক্তি যদি ইতিবাচক থাকে। তবে ভিন্ন ফল আশা করা যেতেই পারে। ভারতের মাটিতে পাঁচদিন লড়তে পারলে যে কোনো কিছুই হতে পারে। বাংলাদেশের সুযোগ সেই চেষ্টায় নিজেদের সর্বোচ্চটা ঢেলে দিয়ে বিশ্ব ক্রিকেটকে দেখিয়ে দেওয়ার।
শোনা যাচ্ছ, কানপুরে গ্রিন পার্কের এই পিচটি হয়তো র্যাঙ্ক টার্নার হবে না। চেন্নাইয়ের লাল মাটির বদলে এখানে কালো মাটি থাকবে। বাউন্স বেশি হবে না এবং বল বেশি ক্যারি করবে না।
ভারত যখন ২০২১ সালে কানপুরে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে শেষ টেস্ট খেলেছিল, তখন ভারতীয় দল অশ্বিন, জাদেজা এবং অক্ষরের স্পিন ত্রয়ী নিয়ে মাঠে নেমেছিল। তার আগে, ২০১৬ সালের পর প্রথমবারের মতো এই ভেন্যুতে টেস্ট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৬ সালে, ভারতীয় দল সহজেই জিতেছিল কিন্তু ২০২১ সালে, নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা ম্যাচ ড্র করতে সফল হয়েছিল।
এই পিচে বোলারদের লড়াই করতে হতে পারে, কিন্তু পিচ যদি বোলারদের খুব বেশি সাহায্য না করে, তাহলে এমন পরিস্থিতিতে ব্যাটসম্যানদের বড় স্কোর করতে খুব একটা অসুবিধা হবে না। ২০২১ সালে শ্রেয়স আইয়ার তার টেস্ট অভিষেকে একটি সেঞ্চুরি এবং একটি হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন, যখন টম ল্যাথাম ভারতের দুই কিংবদন্তি স্পিনারদের বিরুদ্ধে সাহসী ব্যাটিং দেখিয়েছিলেন এবং দুটি হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন।
তার মানে কানপুরের পিচ ব্যাটসম্যানদের হতে পারে। আসতে পারে বড় রান।
সময় জার্নাল/এলআর