সময় জার্নাল রিপোর্ট : বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জিয়াউর রহমানের সম্পৃক্ততা পেলে, তবেই তদন্ত সাপেক্ষে তার রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিল করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
শনিবার (৬ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘‘ঐতিহাসিক ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ এবং উনিশে মার্চ সশস্ত্র প্রতিরোধ আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে গণমাধ্যমের ভূমিকা ’’ শীর্ষক আলোচনা সভায় মন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, এ বিষয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা তদন্ত করছেন। তদন্ত শেষে জাতির সামনে তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করা হবে বলে জানান মন্ত্রী।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিল করা হয়নি। যারা বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত বা সাজাপ্রাপ্ত খুনি তাদের খেতাব বাতিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
আলোচনা সভায় মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ঐতিহাসিক ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের তাৎপর্য ও কার্যকারিতা নিয়া আলোচনা করেন।
এসময় তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু একমাত্র নেতা যিনি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত লড়াই করে স্বাধীনতা এনেছেন। একমাত্র বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেছেন, সারা জাতিকে উদ্বুদ্ধ করেছেন এবং স্বাধীনতা এনেছেন। যা পৃথিবীর অন্য কোন বিপ্লবী নেতা পারেনি। পৃথিবীর অন্যান্য নেতারা যুদ্ধের শুরু বাঁ শেষে থাকলেও পুরো সময় নেতৃত্বে ছিলোনা।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু পৃথিবীর মধ্যে শ্রেষ্ট কূটনৈতিক নেতা।তাই তিনি ৭ ই মার্চ সরাসরি স্বাধীনতার ঘোষণা দেননি। ঐ সময় তিনি স্বাধীনতার কথা বলতে পারতেন, কিন্তু তিনি তা করেননি। যদি করতেন তাহলে বলা হত বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন, পূর্ব-পাকিস্তানকে বিচ্ছিন্ন করতে চায়। তিনি ৭ মার্চ কৌশলে স্বাধীনতার কথা বলেন।
এছাড়াও মন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে ১৯ মার্চের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ আন্দোলনের ব্যাখা করেন।
তিনি বলেন ,২৩ বছরের পাকিস্তানে ১৯ মার্চ প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ করা হয়। তাই ১৯ মার্চ রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি থাকা উচিত। কারন সেদিন প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ করা হয়। এছাড়াও ১৯ মার্চের ঘটনা পাঠ্যসূচিতে তুলে ধরা উচিত বলেও ্মনে করেন তিনি।
১৯ মার্চ প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস উদযাপন পরিষদের প্রধান সমন্বয়কারী আতাউর রহমানের সঞ্চালনায়, "ঐতিহাসিক ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ এবং ১৯ মার্চ সশস্ত্র প্রতিরোধ আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে গণমাধ্যমের ভূমিকা ’’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন অধ্যাপক ড. খাদিজা খাতুন(সভাপতি), বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল ইসলাম ভুইয়া(বিশেষ অতিতি) সহ অন্যান্যরা।
সময় জার্নাল/এমএইচ/ইএইচ