নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাষ্ট্র সংস্কারে গঠিত কমিটিগুলো কাজ শুরুর আগে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসতে যাচ্ছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আগামী শনিবার (৫ অক্টোবর) থেকে এই আলোচনা শুরু হবে।
বুধবার (২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক বিফ্রিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, আগামী শনিবার থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা হবে। এতে ছয় সংস্কার কমিশনের কাজের অগ্রগতির ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোকে অবগত করা হবে। তাদের কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়া হবে। এছাড়া আইনশৃঙ্খলার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে অবগত করা হবে।
সম্প্রতি রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে ছয়টি কমিটি গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। ১ অক্টোবর থেকে তাদের কাজ শুরুর কথা ছিল। তবে এর মধ্যেই সরকার সিদ্ধান্ত নেয়, আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা হবে। পরে এসব কমিটি কাজ শুরু করবে।
গত সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব সংবাদ সম্মেলনে বলেন, রাষ্ট্র সংস্কার কার্যক্রমের জন্য ছয়টি কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এসব কমিটি কাজও শুরু করেছে। আগামী ১ অক্টোবর থেকে এসব কমিটির কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মনে করছে, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আগেই আলোচনায় বসা দরকার। কারণ রাজনৈতিক দলগুলো রাষ্ট্রের স্টেকহোল্ডার। আলোচনার মাধ্যমে রাষ্ট্র সংস্কারে তাদের কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়া হবে।
সেদিন তিনি জানিয়েছিলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা কবে বসবেন সেটা শিগগির জানানো হবে। আজ তিনি সেই দিনক্ষণ জানালেন।
এর আগে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১১ সেপ্টেম্বর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে নির্বাচনব্যবস্থা, পুলিশ, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, সংবিধান ও দুর্নীতি দমন বিষয়ে সংস্কারের জন্য ছয়টি কমিশন গঠনের কথা জানান। নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বদিউল আলম মজুমদার, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান, দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশনের প্রধান ইফতেখারুজ্জামান, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন আবদুল মূয়ীদ চৌধুরী। আর সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে প্রথমে বিশিষ্ট আইনজীবী শাহদীন মালিকের নাম ঘোষণা করা হলেও পরে তা পরিবর্তন করে অধ্যাপক আলী রীয়াজকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলে ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এরপর তিনি দুই দফায় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসেন। এবার তিনি তৃতীয় দফায় বসছেন প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে।
এমআই