নিজস্ব প্রতিনিধি:
মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে গত কয়েকদিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে মাঝে মাঝেই বৃষ্টি হচ্ছে। এতে এখানে-সেখানে জমছে পানি। এসব জমানো পানিতেই ডেঙ্গু মশার প্রজনন ঘটছে দ্রুতগতিতে। সঙ্গে সঙ্গে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না করলে এডিস মশার প্রজননের সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
চলতি বছরের গেল ৯ মাসে ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ১শ ৬৩ জন। এসময় আক্রান্ত হয়েছেন ৩০ হাজার ৯শ ৩৮ জন। এর মধ্যে সেপ্টেম্বর মাসেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ গেছে ৮০ জনের। কেবল ওই মাসেই ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে ১৮ হাজার ৯৭ জনের।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগস্ট-সেপ্টেম্বরে তুলনায় অক্টোবরে এডিস মশাবাহিত এই রোগের প্রকোপ আরও বাড়বে। সে কারণে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে তীব্র আকার ধারণ করতে পারে ডেঙ্গুর প্রকোপ।
এ বিষয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও কীটতত্ত্ববিদ ড. কবিরুল বাশার বলেন, আমরা আগেই ধারণা করেছিলাম, জুলাই-আগস্টের তুলনায় সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে পারে।
দেশের আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে এখন ডেঙ্গুর ধরনেও পরিবর্তন এসেছে জানিয়ে তিনি বলেন, আগে ডেঙ্গুর জীবাণু বহনকারী এডিস মশা পরিষ্কার পানিতে বংশ বিস্তার করলেও এখন সব ধরনের পানিতেই বংশ বিস্তার করছে। ফলে, দিনদিন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে এতদিন যে কার্যক্রম পরিচালিত ছিল, সম্প্রতি রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কারণে তা অনেকটা অকেজো হয়ে গেছে। ফলে, স্থানীয় সরকারের পক্ষ থেকে মশক নিধনের যে কার্যক্রম ছিল, তাও খুব একটা দেখা যাচ্ছে না।
সময় জার্নাল/এলআর