খালেদ হোসেন টাপু,রামু প্রতিনিধি:
রামুতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজায় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এবং পূজার পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রাখতে প্রশাসনের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরাও এবার নিরাপত্তা ব্যবস্থায় অংশগ্রহণ করবে।
শনিবার (৫ অক্টোবর) সকাল ১১টায় রামু উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে রামুর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে স্থানীয় শিক্ষার্থীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সমন্বয় করে দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে।
সভায় উপস্থিত শিক্ষার্থীরা বলেন, "রামুতে সম্প্রীতির পরিবেশ বজায় রাখতে শিক্ষার্থীরা সচেতন ও সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে। এবারের দুর্গাপূজায় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা যাতে নির্বিঘ্নে তাদের ধর্মীয় উৎসব উদযাপন করতে পারেন, সেজন্য আমরা প্রতিটি পূজামণ্ডপে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে মিলিত হয়ে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবো।"
সভায় আরও জানানো হয়, শিক্ষার্থীরা শুধুমাত্র নিরাপত্তা রক্ষায় নয়, বরং পূজামণ্ডপের সার্বিক পরিস্থিতি নজরদারিতে এবং অপ্রীতিকর ঘটনার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
কক্সবাজারের রামুতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এ বছর রামুর ২৩টি মণ্ডপ ও ১৩টি ঘট পূজায় দুর্গাপূজা উদযাপন করা হবে। নির্বিঘ্নে পূজা উদযাপনের জন্য প্রশাসনের পাশাপাশি রামু কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন পরিষদও ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে।
সরেজমিনে স্থানীয় মৃৎশিল্পী নারু বিকাশ দাশের প্রতিমা তৈরির কারখানায় দেখা যায়, তিনি শেষ মুহূর্তের সাজসজ্জায় ব্যস্ত। তিনি জানান, গত ৪০ বছর ধরে প্রতিমা তৈরির কাজ করছেন এবং প্রতিবারই পূজার আগে এমন ব্যস্ততার মধ্যে সময় কাটে।
এদিকে, রামুতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠনও কাজ করছে। জেলা ছাত্রদলের নেতা মোহাম্মদুল হক জনি বলেন, "ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে রামুর মানুষ সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল এবছরও প্রতিটি মণ্ডপে স্বেচ্ছাসেবকের মাধ্যমে পূজার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।"
রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমন কান্তি চৌধুরী জানান, "পুলিশ সার্বক্ষণিকভাবে প্রতিটি মণ্ডপে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রস্তুত। এছাড়া, প্রতিটি মণ্ডপ কমিটির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করে নিরাপত্তা ব্যবস্থার খোঁজ রাখা হচ্ছে।"
এবারের দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে ও শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের জন্য সকল পক্ষ একযোগে কাজ করছে।
সময় জার্নাল/তানহা আজমী