আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফাইজার-বায়োএনটেকের অন্তত ১০ লাখ ডোজ কোভিড টিকা ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষকে দেয়ার কথা ছিল ইসরাইলের। প্রায় মেয়াদোত্তীর্ণ এসব টিকা আর ফিলিস্তিন নেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে ইহুদিবাদী দেশটিকে। খবর ডেইলি সাবাহর।
ফিলিস্তিন সরকারের মুখপাত্র ইব্রাহীম মেলহেম এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, খুব শিগগিরই মেয়াদোত্তীর্ণ হতে যাওয়া এসব টিকা গ্রহন করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে বারণ করেছেন ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী মো. শ্তাইয়েহ।
শুক্রবার প্রথম এই টিকা বিনিময় চুক্তির কথা ঘোষণা করে ইসরাইলের নতুন প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেটের কার্যালয়।
এ চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ ফাইজারের কাছ থেকে তাদের টিকার যে চালান পাওয়ার কথা রয়েছে তা থেকে একই পরিমাণ ডোজ টিকা ইসরাইলকে দেবে।
অধিকৃত অঞ্চলে ফিলিস্তিনিদের টিকার আওতায় আনতে ইসরাইল পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়নি বলে সমালোচনা করে আসছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো।
তবে ইসরাইলের কর্মকর্তারা বলে আসছেন, অসলো শান্তি চুক্তির আওতায় গাজা ও পশ্চিমতীরের কিছু অংশে মানুষজনকে টিকার আওতায় আনার দায়িত্ব ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়েরই।
ইসরাইল ফাইজারের কয়েক লাখ ডোজ টিকা পাওয়ার পরই প্রায় ৫৫ শতাংশ ইসরায়েলির দুই ডোজ টিকা দেওয়ার কাজ শেষ করেছে। অন্যদিকে, পশ্চিমতীর ও গাজায় মাত্র এক ডোজ টিকা পেয়েছেন ৩৩ শতাংশ ফিলিস্তিনি।
আর এখন চুক্তি করে ফিলিস্তিনকে যে টিকা ইসরাইল দিতে চলেছে তা নিয়ে সমালোচনা করে ‘ফিজিশিয়ানস ফর হিউম্যান রাইটস ইসরাইল’ টুইটারে বলেছে, “টিকাগুলোর মেয়াদ প্রায় ফুরিয়ে আসায় ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ সব টিকা কাজে লাগাতে পারবে কিনা তা নিয়ে ঘোরতর সন্দেহ আছে।
ফিলিস্তিন রাশিয়া, চীন, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বৈশ্বিক কোভ্যাক্স কর্মসূচির আওতায় করোনার টিকা পাচ্ছে।
সময় জার্নাল/এসএ