শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়:

শিক্ষার্থীদের হেনস্তা করা সেই শিক্ষকের অভিযোগ তদন্তে কমিটি

মঙ্গলবার, অক্টোবর ৮, ২০২৪
শিক্ষার্থীদের হেনস্তা করা সেই শিক্ষকের অভিযোগ তদন্তে কমিটি

সাইফ ইব্রাহিম,ইবি প্রতিনিধি:

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক হাফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভাগটির শিক্ষার্থীদের করা অভিযোগ তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী হেনস্তা, আপত্তিকর মন্তব্য, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনসহ ২৭ দফা অভিযোগ তুলে তার অপসারণের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। পরে উপাচার্যের কাছে লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ করেন তারা। এসময় উপাচার্য তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। এর প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থী লিখিত ও মৌখিক অভিযোগের যথাযথ তদন্ত ও প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদানের লক্ষ্যে প্রক্টোরিয়াল বডি ও ছাত্র উপদেষ্টা সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত সভার সুপারিশের আলোকে উপাচার্য এই কমিটি গঠন করেছেন।

গঠিত তদন্ত কমিটিতে অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মোস্তফা আরীফকে আহ্বায়ক ও সহকারী প্রক্টর ড. খাইরুল ইসলামকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। অন্য সদস্যরা হলেন, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, সাদ্দাম হোসেন হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ ও আল-ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আনোয়ারুল ওহাব। কমিটিকে আগামী ১০ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। 

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. কাজী মোস্তফা আরীফ বলেন, কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটি আহ্বায়ক হিসেবে আমাকে রেখেছেন। এখনও চিঠি হাতে পাইনি। চিঠি পেলে কাজ শুরু করবো।

উল্লেখ্য, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের করা অভিযোগগুলোর মধ্যে উল্লখযোগ্য হলো, শিক্ষার্থীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, কথার অবাধ্য হলে ইন্টারনাল মার্কস কমিয়ে দেওয়া, মেয়েদেরকে শ্রেণিকক্ষে সকলের সামনে জামা কাপড় নিয়ে কথা বলা, নর্তকী, পতিতা, বাজারের মেয়ে, বলে গালিগালাজ, শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে ক্লাসে কিংবা সবার সামনে হেনস্থা, শিক্ষার্থীদের ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে মারার ও ছাদ থেকে ফেলে দেওয়ার হুমকি, শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপ করে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করা, ব্যক্তিগত রুমে নিয়ে গিয়ে শিক্ষার্থীদের শারীরিকভাবে নির্যাতন, দাড়ি থাকলে শিবির ট্যাগ দিয়ে হেনস্থা, ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য রেজাল্ট খারাপ করে দেওয়া, অন্যান্য শিক্ষকদের নাম নিয়ে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিষয়ে অপমান, অপদস্থ এবং চাপ দেওয়া।

এসব অভিযোগের বিষয়ে ওই শিক্ষকের বক্তব্য জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

সময় জার্নাল/তানহা আজমী


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল