রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

সাবেক সভাপতির আধিপত্য:

মাদরাসা নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার অপচেষ্টা, বেতন-ভাতা বন্ধের হুমকি

মঙ্গলবার, অক্টোবর ৮, ২০২৪
মাদরাসা নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার অপচেষ্টা, বেতন-ভাতা বন্ধের হুমকি

মোঃ ইমরান মাহমুদ,জামালপুর প্রতিনিধি: 

জামালপুরের মাদারগঞ্জে মাদরাসা নিয়ন্ত্রণে নেওয়া ও বেতন-ভাতা বন্ধের হুমকির অভিযোগ আনিছুর রহমান ফাসুদ বিরুদ্ধে। 

আনিছুর রহমানের বাড়ি মাদারগঞ্জ উপজেলার ছোট ভাংবাড়ী গ্রামে। আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজমের বিশস্ত সহযোগী। মির্জা আজমের কল্যাণে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের পদ ভাগিয়ে নিয়ে নেন।  তার গ্রামের বাড়িতে ছিলো ত্রাশের রাজত্ত। শেখ হাসিনা সরকার পতনের পরও রাজত্ত ধরে রাখতে বিভিন্ন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সে।

মির্জা আজমের কল্যাণে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের পদ ছাড়াও মাদারগঞ্জ উপজেলার মিলন বাজার ভাংবাড়ী আলিম মাদরাসার ০২-১২-২০১৯ইং সাল থেকে ৩০-১২-২০২১ইং সাল পর্যন্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। সভাপতি থাকা কালে করেছেন একাধিক নিয়োগ বাণিজ্য। নিয়োগ বাণিজ্যের সময় অধ্যক্ষ কিছু বলতে গেলে মাদরাসার অধ্যক্ষকে কোনঠাসা করে রাখতো।

এলাকায় খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, আনিছুর রহমান ফাসুদ সভাপতি থাকা কালিন সময়ে অফিস সহকারি কাম হিসাব, নিম্নমান সহকারি কাম কম্পিউটার অপারেটর, গ্রন্হাগারিক এই তিনটি পদের প্রার্থীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে তাদেরকে নিয়োগ দিয়েছেন। অধ্যক্ষ উপজেলা জামায়তে ইসলামির আমির থাকায় কোনঠাসা করে রাখতো। যেকোনো কাজে তাকে জিম্মি করে রাখা হতো।  এমনকি মাদরাসার কোনো কাজের জন্য মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড এবং মাদারাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে যেতে দেওয়া হতো না এমন অভিযোগ করেছেন অধ্যক্ষ মোঃ আঃ ওয়াহেদ। 

অভিযোগ রয়েছে আনিছুর রহমান এখনো বিভিন্ন মাদরাসার নিয়োগ বাণিজ্যের সাথে জড়িত। প্রায় মাঝে মধ্যেই বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে প্রবেশ করতে দেখা যায়। সে শুধু মিলন বাজার ভাংবাড়ী আলিম মাদরাসা নয় একাধিক মাদরাসার নিয়োগ বাণিজ্যের সাথে জড়িত। তার এই কাজে সহযোগিতা করেছেন অধিদপ্তরের পরিদর্শক বাদশা মিয়া।  পরিদর্শক বাদশা মিয়ার সাথে ছিলো তার গভীর সম্পর্ক।  

মিলন বাজার ভাংবাড়ী আলিম মাদরাসা অধ্যক্ষ মোঃ আঃ ওয়াহেদ বলেন, বিগত সরকারের আমলে আমাকে কোনঠাসা করে রাখা হয়েছিল। কোনো অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে পারি নাই।

এ সব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আনিছুর রহমান ফাসুদের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

মাদারগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফাইযুল ওয়াসীমা নাহাত বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সময় জার্নাল/তানহা আজমী


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল