মাহবুবুল হক খান, দিনাজপুর প্রতিনিধি:
দিনাজপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বখতিয়ার আহমেদ কচি'র বিরুদ্ধে একটি কুচক্রিমহল মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন কল্পকাহিনি সাজিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে
দিনাজপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বখতিয়ার আহমেদ কচি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে একটি কুচক্রি মহল সাধারণ সম্পাদককে জড়িয়ে মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন কল্পকাহিনি সাজিয়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছে মর্মে অভিযোগে করেছেন জেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাডভোকেট মোফাজ্জল হোসেন দুলাল।
বুধবার (৯ অক্টোবর ২০২৪) বেলা ১২টায় জেল রোডস্থ দিনাজপুর জেলা বিএনপি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
এ্যাডভোকেট মোফাজ্জল হোসেন দালাল বলেন, ফ্যাসিষ্ট হাসিনা সরকারের আমলে দিনাজপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের নামে ৬২টির অধিক মামলা রয়েছে। বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় তাকে জেলেও যেতে হয়েছে। তারপরও সাধারণ সম্পাদক বখতিয়ার আহমেদ কচি জেলা বিএনপির সভাপতিসহ সকল নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে দলকে তৃনমূল পর্যায়ে শক্তিশালী করার লক্ষে কাঁধেকাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।
৪নং শেখপুরা ইউনিয়নের জনৈক দেবেন তির্কির মাধ্যমে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদককে জড়িয়ে মিথ্যা বানোয়াট ও কটুউক্তিমূলক ভিডিও চিত্র বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যেমে ভাইরাল করলে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের দৃষ্টিগোচর হয়। পরবর্তীতে রংপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক আব্দুল খালেককে উক্ত ঘটনার বিষয়ে তদন্ত করার দায়িত্ব প্রদান করে।
পরে বিএনপি নেতা আব্দুল খালেক গত ১৩/০৯/২০২৪ তারিখে তদন্ত করতে গেলে শেখপুরা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবেদুল ইসলামের বাসায় গিয়ে ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে জনৈক নিশাত কুচক্রি মহলের উষ্কানিতে উক্ত মিথ্যা ও কাল্পনিক ভিডিও প্রস্তুত করে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদককে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার মানসে একটি পক্ষ নিজে ক্ষেত্র প্রস্তুত করে গণমাধ্যমে প্রচার করে বলে স্বীকার করেন। উক্ত ঘটনার তদন্ত চলাকালিন সময়ে মোস্তফা কামাল মিলনের নেতৃত্বে প্রায় ২০ হতে ২৫ জন সন্ত্রাসী আবেদুলের বাসায় যায়। আব্দুল খালেককে আটক রাখবার ঘটনা জানাজানি হলে মুহুর্তের মধ্যে এলাকার লোকজন এসে কেন্দ্রীয় নেতা সহ-সাংগঠনিক আব্দুল খালেককে উদ্ধার করে তাকে গাড়ীতে উঠিয়ে দেওয়া মাত্র এলাকাবাসীর সাথে মিলন গ্রুপের সন্ত্রাসীর মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও মারামারী হয়।
পরবর্তীতে আমরা আরো লক্ষ করি গত ০৬/১০/২০২৪ তারিখে মোস্তফা কামাল মিলন গং এর সদস্য শাহিন ও তার পরিবার নিয়ে একটি মিথ্যা ভিত্তিহীন ও বানোয়াট ঘটনা সাজিয়ে মানববন্ধন করে।
তিনি আরো বলেন, পরে সাধারণ সম্পাদক দিনাজপুর জেলা বিএনপির কার্যালয়ে মিটিং চলা অবস্থায় উক্ত ঘটনার সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষনিক কোতয়ালী থানায় অবগতি করলে পুলিশ এবং সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।
সংবাদ সম্মেলনে এ্যাডভোকেট মোফাজ্জল হোসেন দুলাল আরো বলেন, প্রকৃতপক্ষে উক্ত ঘটনার বিষয়ে উল্লেখ করে ৪নং শেখপুরা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবেদুল ইসলাম দিনাজপুর কোতয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার নম্বর-জি.আর-৫৫৮/২৪।
পরবর্তীতে কুচক্রি মহলের পরামর্শে সাধারণ সম্পাদকসহ দলীয় ৩২জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করে। উক্ত মামলার ঘটনার সাথে সাধারণ সম্পাদকসহ নেতাকর্মীদের কোন প্রকার সম্পৃক্ততা নেই। শুধু মাত্র ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করার অসৎ উদ্দেশেই মামলাটি করেন বলে আমরা মনে করি।
সংবাদ সম্মেলনে দিনাজপুর জেলা বিএনপি সকল অঙ্গসহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে তিব্র নিন্দা, ঘৃনা ও প্রতিবাদ জানান এবং ঘটনার সত্যতা অন্বেষন করে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের অনুরোধ করেন এ্যাডভোকেট মোফাজ্জল হোসেন দুলাল।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ মোকারম হোসেন, সহ-সভাপতি খালেকুজ্জামান বাবু, আলহাজ্ব মাহবুব আহমেদ, আলহাজ্ব মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক, আলহাজ্ব মােঃ সোলায়মান মোল্লা, মােজহারুল ইসলামসহ সম্পাদক মন্ডলির অন্যান্য সদস্য ও জেলা বিএনপি অন্যান্য অঙ্গসহযোগি সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
সময় জার্নাল/এলআর
