নিজস্ব প্রতিনিধি:
‘ডিমে পুষ্টি ডিমে শক্তি, ডিমে আছে রোগমুক্তি’ স্লোগান সামনে রেখে পালিত হচ্ছে বিশ্ব ডিম দিবস। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো আজ শুক্রবার পালন করছে বিশ্ব ডিম দিবস ২০২৪। ইন্টারন্যাশনাল এগ কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতি বছর অক্টোবরের দ্বিতীয় শুক্রবার বিশ্বজুড়ে পালিত হয় ডিম দিবস।
প্রাণিসম্পদ অধিদফতর জানিয়েছে, দেশে প্রতিদিন ডিমের চাহিদা রয়েছে পাঁচ কোটি পিস। বন্যার আগে এই উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ৬ কোটি ৩০ লাখ পিস। সেখান থেকে বন্যায় ৫০ লাখ পিস ডিমের উৎপাদন কম হলেও সেটা ৫ কোটি ৮০ লাখ, যা চাহিদার তুলনায় বেশি।
এদিকে আমদানির খবরে বাজারে ডিমের দাম কমলেও এখনো প্রতি ডজন ডিম ১৬৫-১৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা সরকার বেঁধে দেয়া দামের চেয়ে বেশি।
বিপিআইসিসির তথ্য অনুযায়ী, দেশে ডিমের উৎপাদনের ১৩.৯৬ শতাংশ বা ৬০ লাখ পিস সরবরাহ করে বড় প্রতিষ্ঠান। বাকি ৮৬.০৪ শতাংশ সরবরাহ আসে ক্ষুদ্র খামারি থেকে। এই হিসেব করা হয়েছে বন্যার আগের প্রতিদিনের ৪.৫০ কোটি পিস উৎপাদনের তথ্য থেকে।
এদিকে কম উৎপাদনে ডিমের বাজারে অস্থিরতা তৈরি হওয়ায় সবচেয়ে বেশি চাপে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। কারণ ঢাকার বাজারে শুধুমাত্র আলুর দাম কিছুটা স্থিতিশীল রয়েছে।
তাছাড়া সব সবজিই এখন ১০০ টাকার আশপাশে, যা সাধারণ মানুষকে বেকায়দায় ফেলেছে। এ অবস্থায় মানুষ যে ডিমের ওপর নির্ভর করবে সেটাও অনেকটা নাগালের বাইরে।
সময় জার্নাল/এলআর