জাকারিয়া শেখ,কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে আগাম জাতের লাউ চাষে সফল হচ্ছেন স্থানীয় সবজি চাষীরা। অনেক কৃষকের স্বপ্ন দুলছে এখন লাউয়ের মাচায়। শীতের আগাম লাউ বিক্রি করে লাভের স্বপ্ন দেখছেন তারা। লাউ চাষ করে সফল তরুন উদ্যোক্তাদের মুখে হাসি ফুঁটে উঠেছে।
আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় জৈবিক কৃষি ও জৈবিক বালাই ব্যবস্থাপনায় লাউ চাষে লাভবান হওয়ায় স্থানীয় তরুন কৃষকরাও এখন লাউ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় পরিত্যক্ত জমিতে আগাম জাতের লাউসহ শীতকালীন শাক-সবজির চাষাবাদ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন । আগাম জাতের লাউয়ের পাশাপাশি লাউডগা বিক্রি করে লাভবান হচ্ছে কৃষকেরা । এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন উঁচু জমি, ডাঙ্গায় ও পুকুর পাড়ে আগাম লাউ চাষ করা হচ্ছে।
বাজারে মৌসুমি সবজির মূল্যে অনেকাংশে বৃদ্ধি পেলেও সাধারণ ক্রেতাদের চাহিদার তালিকার শীর্ষে রয়েছে আগাম লাউ। খুচরা বাজারে লাউয়ের পিস কেনাবেচা হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা। তবে প্রকার ভেদে ও এলাকাভিত্তিক এর মূল্য কিছুটা কম বেশি হয়ে থাকে। লাউয়ের বাম্পার ফলন হওয়ায় প্রতিনিয়ত স্থানীয় চাহিদা মেঠানোর পরেও ঢাকাসহ দেশের অঞ্চলে পাঠানো হচ্ছে।
শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের চাষী নয়ন মিয়ার লাউ ক্ষেতে দেখা যায়, জমিজুড়ে দীর্ঘ বাঁশের মাচায় অসংখ্য লাউ ঝুলে আছে।তিনি জানান, হৃষ্টপুষ্ট বিষমুক্ত এ লাউ ক্ষেতে কোনো ধরনের রাসায়নিক সার ব্যবহার করেননি। জৈব সার ব্যবহার করে লাউ চারা রোপণ করায় ফলন ভালো হয়েছে।২৫ শতাংশ জমিতে লাউ চাষ করেছি এতে ১০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে এই লাউ ক্ষেত থেকে আমি ৫০ থেকে ১ লাখ টাকা আয় হবে।
নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের লাউ চাষী বাপ্পি চন্দ্র বর্মন জানান, লাউ চাষে তেমন পরিশ্রম হয় না তাছাড়া কম খরচে অধিক লাভ হয় সে কারণে আমরা লাউ চাষ করেছি, ১০ শতাংশ ২০০০ টাকা খরচ করে লাউ চাষ করেছি ইতিমধ্যে ৩০ হাজার টাকা বিক্রি করেছি আরো বিক্রি করব এখান থেকে আমার ৪০ হাজার টাকার মতো আয় হবে।
উপজেলা কৃষি অফিসার নিলুফা ইয়াসমিন জানান, উপজেলায় এ বছরে ১৭ হেক্টর জমিতে লাউ চাষ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত কৃষকরা অনেক লাউ বিক্রি করেছেন।কৃষকেরা গ্রীষ্মকালীন লাউ চাষ করে বেশ লাভবান হচ্ছেন। কৃষকদের কৃষি অফিস থেকে সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
সময় জার্নাল/তানহা আজমী