আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
গত এক মাস ধরে ইসরায়েল লেবাননের বিভিন্ন স্থানে, বিশেষ করে দক্ষিণ লেবানে, ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে। সম্প্রতি, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনকে লেবনন থেকে সরানোর জন্য চাপ সৃষ্টি করছেন। বর্তমানে লেবাননে বাংলাদেশের পাশাপাশি ৫০টি দেশের প্রায় ১০ হাজার শান্তিরক্ষী মোতায়েন রয়েছে, যারা ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তের নিরাপত্তায় কাজ করছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, নেতানিয়াহুর উদ্দেশ্য হল লেবাননে ইসরায়েলের সামরিক কর্মকাণ্ডের রেকর্ড না রাখা। শান্তিরক্ষীরা শুধু নিরাপত্তা প্রদান করছে না, বরং আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক হিসেবেও কাজ করছেন। নেতানিয়াহু শান্তিরক্ষীদের অপসারণ করতে চাইছেন, যাতে ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডের ওপর নজরদারি কমে যায়।
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন, যা ইউনিফিল নামে পরিচিত, ১৯৭৮ সাল থেকে লেবাননের দক্ষিণ সীমান্তে কাজ করছে। তাদের মূল উদ্দেশ্য হল শান্তি বজায় রাখা এবং লেবানন সরকারের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা। গত বছর ৭ অক্টোবর হামাসের অভিযানের পর ইসরায়েল গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে এবং দক্ষিণ লেবাননে স্থল অভিযান চালাতে থাকে।
ইসরায়েল দাবি করে তারা হিজবুল্লাহর অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা করছে, কিন্তু স্থানীয় নাগরিক এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বলছে, ইসরায়েল নির্বিচারে সাধারণ নাগরিকদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। এই সপ্তাহে ইউনিফিলের বেশ কয়েকটি অবস্থানে হামলা চালানো হয়েছে, যার ফলে শান্তিরক্ষী সদস্যরা আহত হয়েছেন।
জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা ইসরায়েলের এই হামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানালেও নেতানিয়াহু থামছেন না। তিনি শান্তিরক্ষীদের তাড়ানোর দাবি করেছেন, যা আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের পরিপ্রেক্ষিতে উদ্বেগ সৃষ্টি করছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইউনিফিলের অপসারণ ইসরায়েলের মানবাধিকার লঙ্ঘন তদারকিকে আরও কঠিন করে দেবে এবং তা আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে।
এমআই