বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

নিলামে সেই কলা শিল্পকর্ম, এবার দাম উঠতে পারে ১.৫ মিলিয়ন ডলার

শনিবার, অক্টোবর ২৬, ২০২৪
নিলামে সেই কলা শিল্পকর্ম, এবার দাম উঠতে পারে ১.৫ মিলিয়ন ডলার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

২০১৯ সালে যখন দেয়ালে ডাক্ট টেপ দিয়ে লাগানো একটি কলা বিক্রি হয়েছিল ১ লাখ ২০ হাজার ডলারে। সে সময় এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তোলপাড় ফেলে দেয়। শিল্পের নিগূঢ় অর্থ নিয়েও পুরনো বিতর্ক ফের উসকে দেয়। তবে ইতালির শিল্পী মরিজিও ক্যাটেলানের 'কমেডিয়ান' নামক এই ভাইরাল শিল্পকর্ম সম্ভবত এখন লাভজনক বিনিয়োগে পরিণত হচ্ছে। শুক্রবার নিলাম প্রতিষ্ঠান সদেবিজ ঘোষণা দিয়েছে, শিল্পকর্মটির তিন 'সংস্করণের' মধ্যে একটি ফের বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। এবার এ শিল্পকর্ম বেচে ১ মিলিয়ন থেকে ১.৫ মিলিয়ন ডলার পাওয়ার আশা করছে নিলামঘরটি।

এই দামে নিলামে বিজয়ী ক্রেতা পাবেন ডাক্ট টেপের একটি রোল ও একটি কলা। সঙ্গে থাকবে একটি মালিকানা সনদ  ও শিল্পকর্মটি স্থাপনের অফিসিয়াল নির্দেশিকা। সদেবিজ সিএনএনকে নিশ্চিত করেছে, বিক্রির জন্য প্রদর্শিত কলা ও টেপ আসল নয়। 

নিলামের একজন মুখপাত্র ইমেইলের মাধ্যমে সিএনএনকে বলেন, 'কমেডিয়ান' আসলে একটি 'কনসেপচুয়াল' শিল্পকর্ম। তাই প্রতিবার পুনঃস্থাপনের সময় এর ফল ও টেপও বদলে দেওয়া হয়।

পাঁচ বছর আগে যখন আর্ট বাসেল মিয়ামি বিচ প্রদর্শনীতে 'কমেডিয়ান' প্রদর্শনের পর আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে উঠে আসেন ক্যাটেলান ও ফরাসি আর্ট গ্যালারি পেরোটিন। মূল শিল্পকর্মটি মিয়ামির একটি দোকান থেকে কেনা কলা দিয়ে তৈরি হয়েছিল। তবে শিল্পীর নির্দেশনা অনুযায়ী এটি প্রতিস্থাপনযোগ্য। 

শিল্পপ্রেমীদের কাছে শিল্পের চিরাচরিত মাপকাঠি নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেয় 'কমেডিয়ান'। এর পক্ষে-বিপক্ষে ওঠে আলোচনার ঝড়।

তবে পারফর্ম্যান্স আর্টিস্ট ডেভিড ডাটুনা শত শত দর্শকের সামনে দেয়াল থেকে কলাটি তুলে খেয়ে ফেলার পর ঘটনা নতুন মোড় নেয় যখন। ডাটুনা পরে দাবি করেন, কলা খাওয়ার কাজটি তার নিজস্ব আর্টিস্টিক পারফর্ম্যান্স ছিল। কোনো ধরনের উগ্রতা প্রদর্শনের ইচ্ছায় তিনি কাজটি করেননি। 

পরে জননিরাপত্তার কারণে মিয়ামির প্রদর্শনী থেকে 'কমেডিয়ান' সরিয়ে নেওয়া হয়। তবে প্রদর্শনীতে ওই শিল্পকর্মের সবগুলো সংস্করণই বিক্রি হয়। দুটি সংস্করণ ১ লাখ ২০ হাজার ডলারে কিনে নেন ব্যক্তিগত সংগ্রাহরা। তৃতীয় সংস্করণটি আরও বেশি দামে বিক্রি হয় (দাম জানানো হয়নি)। পরে সেটি নিউইয়র্কের গুগেনহাইম মিউজিয়ামে দান করা হয়।

নভেম্বরের নিলামে বর্তমান বিক্রেতার পরিচয় গোপন রাখবে সদেবিজ। তবে তারা জানিয়েছে, বর্তমান মালিক এই শিল্পকর্মটি পেয়েছেন প্রথম ক্রেতার সংগ্রহ থেকে।

মিয়ামি প্রদর্শনীর পর বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে ক্যাটেলান 'কমেডিয়ান'কে একটি 'কমেন্টারি' কাজ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ২০২১ সালে 'আর্ট নিউজপেপার'-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, শিল্পকর্মটি কোনো 'মজা নয়', বরং 'এটি আমাদের মূল্যবোধের প্রতিফলন'। 

এই ইতালীয় শিল্পী পপ কালচারকে ব্যঙ্গ করে শিল্পকর্ম তৈরির জন্য বিখ্যাত। 

সদেবিজের প্রধান ডেভিড গ্যালপারিন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন, 'কমেডিয়ান' মূলত 'শিল্পের মূল্য' ধারণাটির বিরুদ্ধে প্রশ্ন তোলে। শিল্পকর্মটি নিলামে তোলার মাধ্যমে জনসাধারণকেই এর প্রকৃত মূল্য নির্ধারণের উন্মুক্ত সুযোগ দেওয়া হবে।

'কমেডিয়ান' এবারই প্রথম নিলামে উঠছে। তবে সম্প্রতি সিউলের লিয়ুম আর্ট মিউজিয়ামে শিল্পকর্মটি প্রদর্শিত হয়েছিল। সে সময়ও শিল্পকর্মটি খেয়ে ফেলা হয়েছিল। সিউল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির একজন আর্ট শিক্ষার্থী দেয়াল থেকে কলাটি তুলে খেয়ে ফেলেন। তারপর কলার খোসা ফের টেপ দিয়ে দেয়ালে লাগিয়ে দেন। 

২০২৩ সালে গ্যালারির একজন মুখপাত্র সিএনএনকে বলেলেন, 'ওই শিক্ষার্থী মিউজিয়ামকে জানিয়েছেন, খিদে লাগায় তিনি কলাটি খেয়ে ফেলেছিলেন।' মিউজিয়াম পরে খাওয়া খেয়ে ফেলা কলার জায়গায় নতুন কলা রাখে।

সদেবিজ ঘোষণা দিয়েছে, ২০ নভেম্বর নিউইয়র্কের প্রধান কার্যালয়ে 'কমেডিয়ান'-এর নিলাম হবে। তার আগে শিল্পকর্মটি প্রদর্শিত হবে। 'কমেডিয়ান' প্রথমে নিউ ইয়র্কে প্রদর্শিত হবে; তারপর এটি লন্ডন, প্যারিস, মিলান, হংকং, দুবাই, তাইপেই, টোকিও ও লস অ্যাঞ্জেলেসে ভ্রমণ করবে।

এমআই 


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল