নিজস্ব প্রতিনিধি:
দেশে ভর্তির কার্যক্রম আরও স্বচ্ছ ও যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে বেসরকারি স্কুল, স্কুল অ্যান্ড কলেজে মাধ্যমিক, নিম্ন মাধ্যমিক ও সংযুক্ত প্রাথমিক স্তরে শিক্ষার্থী ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
গতকাল সোমবার (২৮ অক্টোবর) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব সিদ্দিক জোবায়েরের সই করা এ নীতিমালায় এ তথ্য জানানো হয়।
নীতিমালায় বলা হয়, সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের এন্ট্রি শ্রেণিতে এবং আসন শূন্য থাকা সাপেক্ষে সাধারণভাবে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে। নতুন শিক্ষাবর্ষ (২০২৫) ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত হবে। অন্যদিকে, প্রতি শ্রেণি শাখায় শিক্ষার্থী সংখ্যা হবে ৫৫ জন।
নীতিমালায় আরও বলা হয়, রাজধানীর এমপিও ভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে পাঁচ হাজারের বেশি টাকা আদায় করা যাবে না। আংশিক এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন এবং এমপিও বর্হিভূত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা দেওয়ার জন্য শিক্ষার্থী ভর্তির সময় মাসিক বেতন, সেশন চার্জ ও উন্নয়ন ফিসহ বাংলা মাধ্যমে সর্বোচ্চ আট হাজার টাকা ভর্তি ফি নিতে পারবে। ইংরেজি ভার্সনে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা ভর্তি ফি গ্রহণ করা যাবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন ফি বাবদ এক হাজার টাকার বেশি আদায় করা যাবে না।
সেশন চার্জসহ ভর্তি ফি সর্বসাকুল্যে মফস্বল এলাকায় ৫০০ টাকা, উপজেলায় এক হাজার টাকা, জেলা সদরে দুই হাজার টাকা। ঢাকা ছাড়া অন্যান্য মেট্রোপলিটন এলাকায় তিন হাজার টাকার বেশি নেওয়া যাবে না।
একই প্রতিষ্ঠানে বার্ষিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর এক ক্লাস থেকে পরবর্তী ক্লাসে ভর্তির ক্ষেত্রে প্রতি বছর সেশন চার্জ নেওয়া যাবে। তবে পুনঃভর্তির ফি নেওয়া যাবে না।
অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও কর্মচারীদের অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্ট তহবিলের জন্য ভর্তির সময়ে শিক্ষার্থী প্রতি ১০০ টাকা গ্রহণ করে সংশ্লিষ্ট হিসাব খাতে জমা দিতে হবে। ৭০ টাকা অবসর এবং ৩০ টাকা কল্যাণ তহবিলের সংশ্লিষ্ট হিসাব খাতে জমা দিতে হবে।
শিক্ষার্থীর বয়স নিয়ে নীতিমালায় বলা হয়, জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ অনুযায়ী, ছয় বছর হলে শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে। তবে শিক্ষাবর্ষের ১ জানুয়ারি শিক্ষার্থীর সর্বনিম্ন বয়স পাঁচ বছর এবং ৩১ ডিসেম্বর সর্বোচ্চ সাত বছর পর্যন্ত হবে।
সময় জার্নাল/এলআর