সময় জার্নাল ডেস্ক:
বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য বাস্তব পরিবর্তনের ডাক দিয়েছেন অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক পারভেজ। বাংলাদেশের বর্তমান পরিবর্তনকে উল্লেখ করে, ভবিষ্যতের পরিবর্তনের বিষয়ে তিনি বলেন, সময় এসেছে সত্যিকারের পরিবর্তনের—একটি সংবিধানের, যা গরিব, শ্রমজীবী ও সংগ্রামী মানুষদের অধিকারকে সংরক্ষণ করবে।
অধ্যাপক পারভেজ বলেন, বাংলাদেশে একটি ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে। একে কেউ বলতে পারেন শাসন পরিবর্তন, কেউ বলবেন বিপ্লব, আবার কেউ বলতে পারেন ছাত্র, সাধারণ জনগণ ও সেনাদের নেতৃত্বে এক গণআন্দোলন। কিন্তু সত্যটা একটাই: আওয়ামী লীগ (আ.লীগ) ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে, এবং শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করেছেন। আ.লীগ সমর্থকরা এটাকে ‘অসাংবিধানিক’ বলতে পারেন, তবে অনেকের বিশ্বাস, টানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রিত্ব তার জালিয়াতির মাধ্যমে অর্জিত।
আমাদের সংবিধান বারবার পরিবর্তন করা হয়েছে, প্রতিবারই রাজনৈতিক স্বার্থ রক্ষার জন্য, জনগণের কষ্ট লাঘবের জন্য নয়। এসব পরিবর্তন কখনোই জনগণের প্রকৃত কল্যাণের জন্য ছিল না।
আমি আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। আমি কোনো রাজনৈতিক মতবাদে বিশ্বাসী নই। গত ৩৫ বছর ধরে আমি দুঃখী জনগণের সঙ্গে কাজ করেছি, সবসময়ই গরিবদের পাশে থেকেছি। আজ গভীর বেদনার সঙ্গে দেখি, সব পক্ষই রাজনৈতিক বলটিকে শুধুমাত্র নিজেদের স্বার্থে লাথি মারছে। বিএনপির একটি অংশ দ্রুত নির্বাচনের দাবি করছে—জনগণের সেবা করার জন্য নয়, বরং ক্ষমতা দখল, ব্যবসা দখল এবং আ.লীগের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য।
বর্তমান সংবিধান গরিব ও শ্রমজীবী মানুষের জন্য ন্যায্য সম্পদ ভাগাভাগি, কর্মসংস্থান বা জীবনের মান নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। সময় এসেছে সত্যিকারের পরিবর্তনের—একটি সংবিধানের, যা গরিব, শ্রমজীবী ও সংগ্রামী মানুষদের অধিকারকে সংরক্ষণ করবে। আসুন, আমরা এমন একটি ব্যবস্থা দাবি করি যা সত্যিকার অর্থে আমাদের সবার সেবা করবে।
এমআই