সময় জার্নাল ডেস্ক:
দুদক, জনপ্রশাসন ও জুডিসিয়াল সার্ভিস সূত্রে অনেকের নাম শোনা যাচ্ছে। এদের মধ্যে নতুন কমিশনে চেয়ারম্যান পদে সাবেক সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল (অব.) ইকবাল করিম ভুঁইয়া, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব এ এইচ এম নুরুল ইসলাম ও ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৩ এর সাবেক বিচারক মোতাহার হোসেনের নাম উল্লেখযোগ্য।
গতকাল মঙ্গলবার দুদক চেয়ারম্যান ও কমিশনার তাদের পদত্যাগপত্র কমিশন অফিসে জমা দিয়েছেন। এ বিষয়ে দুদক সচিব এবং সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এক অনির্ধারিত বৈঠক করেছেন। বৈঠকের পর দুদক থেকে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়েছে।
এ এইচ এম নুরুল ইসলামকে ২০০৪ সালের ৩ জুন বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়। তার নামে দুর্নীতি দমন ব্যুরোর সময় মামলাও দায়ের করা হয়। দুদক সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নথিপত্র তিনি ব্যক্তিগত প্রয়োজনে সিডি আকারে সংরক্ষণ করেছিলেন। এ অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। তবে, পরে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহার করে দুদক।
মোতাহার হোসেন ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে করা বিদেশে অর্থপাচার সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা করেন। কোনো অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় রায়ে তিনি তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস দেন। মোতাহার হোসেনের বিরুদ্ধেও দুদকে অনুসন্ধান ছিল। পরে নিষ্পত্তি করা হয়।
দুই কমিশনার পদে দুদকের সাবেক মহাপরিচাক (ডিজি) প্রশাসন ক্যাডারের মুনীর চৌধুরী, জুডিসিয়াল সার্ভিসের মঈদুল ইসলাম, দুদকের নিজস্ব জনবলের আমীরুল আলম, ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক নুর আহমেদ, লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীর নামও আলোচনা হচ্ছে। তাদের মধ্যে মুনীর চৌধুরীর বাড়ি চট্টগ্রাম বিভাগে। এছাড়া কমিশনের বিশেষ তদন্ত শাখার বর্তমান মহাপরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলীর বাড়িও চট্টগ্রাম।
সূত্র জানায়, নতুন কমিশনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার, বিএনপি ও জামায়াত তাদের পছন্দের লোক খুঁজছে। প্রশাসন ক্যাডারও তাদের প্রভাব ধরে রাখতে চায়। তারাও অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে বাছাই করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও জুডিশিয়াল সার্ভিসও নিজেদের পছন্দের লোককে দুদকে বসাতে চায়।
জানতে চাইলে দুদক সংস্কার কমিশনের প্রধান ও টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান যেহেতু তারা সরকারের নির্দেশনা অনুসরণ করে পদত্যাগ করেছেন, সেহেতু সরকারের নিশ্চয়ই চিন্তা-ভাবনা আছে নতুন কমিশন কীভাবে গঠন করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘দলীয় প্রভাবমুক্তভাবে নিয়োগপ্রাপ্তরা কখনোই নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারেনি। এখন যেহেতু অন্তবর্তী সরকার দায়িত্বে আছে, তাই আশা করবো অবশ্যই যথাযথ মানদণ্ড বজায় রেখে উপযুক্ত ব্যক্তিদের নিয়োগ দেবেন।’
সময় জার্নাল/এলআর