মো. মোস্তাফিজুর রহমান রিপন, ঝালকাঠি প্রতিনিধি:
ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়নের মামুন মেকারের নামে সরকারি (খাস) জমি জবর দখল করে আলিশান বাড়ি করার অভিযোগ উঠেছে। দপদপিয়া ইউনিয়নের ফেরিঘাট সংলগ্ন নলছিটি সড়কের পাশেই তার একটি ছোট ইলেকট্রনিক দোকান ছিল। বিভিন্ন ইলেকট্রনিকস ডিভাইস মেরামত করতেন। সেই হিসেবে মামুন মেকার নামেই এলাকায় পরিচিত ছিলেন। মামুন হাওলাদার উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়নের তিমিরকাঠি এলাকার রুস্তম হাওলাদারের পুত্র।
নিজের ছোট দোকানে ইলেকট্রনিকস ডিভাইস মেরামতের কাজ করেই কোনভাবে জীবিকা নির্বাহ করতেন মামুন হাওলাদার ওরফে মামুন মেকার । এক সময় নুন আনতে পান্তা ফুরাইবার অবস্থায় ছিলেন। তবে হঠাৎ করেই আলাদীনের চেরাগে তার জীবন পাল্টে যায়। জমি, বাড়ি, গাড়ি ক্রয় করে উপজেলার ধনী ব্যক্তিদের কাতারে চলে আসেন। নিয়মিত মোটা অংকের দান খয়রাতও শুরু করেন।
নলছিটি উপজেলা পরিষদ হলরুমে এক অনুষ্ঠানে সাবেক স্বৈরশাসকের মন্ত্রী আমির হোসেন আমুর হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে হয়ে যান বেপরোয়া। এলাকার নিরীহ লোকদের জমিদখল থেকে শুরু করে নানান অপকর্ম শুরু করেন মামুন মেকার।
তবে তার এই হঠাৎ উত্থানের বিষয় নিয়ে এলাকায় চলছে নানা গুঞ্জন। কোন বৈধ পথে এতো ফুলেফেঁপে উঠা কোনভাবেই সম্ভব না। এলাকায় নিজ নামে শতশত একর জমি ক্রয় করেছেন। ঝালকাঠি রোডস এন্ড হাইওয়ের জায়গা দখল করে দপদপিয়া ইউনিয়নের জিরোপয়েন্ট এলাকায় করেছেন বিলাশবহুল বাড়ি। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার এলাকাবাসী কতৃপক্ষকে অবহিত করলেও কোন অজানা কারণে রোডস এন্ড হাইওয়ের কর্মকর্তারা নিরব থাকেন। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে মামুনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এই অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। আমার ভবনের মধ্যে ৫ ফুট জমি রোডস এন্ড হাইওয়ে দাবী করলে তাহার মীমাংসার জন্য আমি ঝালকাঠি জেলা জজ আদালতে মামলা করেছি যাহা চলমান। এ যাবৎ ৫ বার সরেজমিনে জমির পরিমাপ করা হলেও সমাধান হয়নি। আমার বাসার সামনে আরেকটি বিল্ডিং রয়েছে যেটা আওয়ামী লীগের অফিস যার সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই।
এ ব্যাপারে রোডস এন্ড হাইওয়ের ঝালকাঠি জেলা কর্মকর্তা শাহরিয়ার শরিফ খানের বক্তব্য জানার জন্য তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
সময় জার্নাল/এলআর