ডিআইইউ প্রতিনিধি:
ডিআইইউ'তে প্রথম আলো-ডেইলি স্টার পত্রিকা পুড়িয়ে বয়কটের হুশিয়ারী দিয়েছেন ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শনিবার (২ নভেম্বর) সকাল ১১ টায় "সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে" বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে নতুন বিল্ডিংয়ের সামনে জড়ো হয়ে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
এই সময় প্রথম আলো-ডেইলি স্টার পত্রিকায় আগুন দিয়ে প্রথম আরো-ডেইলি স্টার পত্রিকা বিরোধী নানারকম স্লোগান দিতে থাকেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ফয়সাল আহমেদ বলেন, "প্রথম আলো ২০১৯ সালে বুয়েটের শেরে-বাংলা হলে ছাত্রলীগের হাতে আবরার ফাহাদের হত্যার ঘটনাকে অস্বীকার করে 'এই ছাত্রের মৃত্যুর কারণ এখনো জানা যায়নি। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না।' উল্লেখ করে খবর প্রকাশ করে, যা স্পষ্টভাবে মিথ্যাচার ও জড়িত ব্যক্তিদের বাঁচিয়ে নেয়ার একটা ব্যর্থ প্রচেষ্টা ছিলো।
এছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ে ফেনী-নোয়াখালী অঞ্চলে বন্যার জন্য ভারতীয় ড্যাম ও ভারতকে সাধারণ মানুষ দায়ী করলেও, প্রথম আলো 'উজান থেকে নেমে আসা পানিতে বন্যা' উল্লেখ করে খবর প্রকাশ করেছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে নানান বিষয়ে প্রথম আলোর মিথ্যাচারের প্রতিবাদে ও বয়কটের আহ্বানে আমাদের এই কর্মসূচি।"
সম্প্রতি প্রথম আলো নিয়ে প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন তার ইউটিউবে একটি ভিডিও প্রতিবেদন প্রকাশ করেন।
সেই প্রতিবাদের প্রসঙ্গ টেনে কম্পিউটার বিজ্ঞান প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ বলেন, "প্রথম আলো বাংলাদেশে একটি চিহ্নিত ইসলাম বিদ্বেষী পত্রিকা। বিভিন্ন সময়ে তাদের ইসলামবিদ্বেষ তাদের এবং পত্রিকা-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাজের দ্বারা ফুটে উঠেছে।
২০০৭ সালে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ এবং প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনার সম্পাদক আনিসুল হকের লেখা 'ছহি রাজাকারনামা' নামক ব্যঙ্গাত্মক রচনায় স্পষ্টভাবে ইসলামবিদ্বেষ ফুটে উঠেছে। এবং তিনি এখনো প্রথম আলোর সাথে কাজ করে যাচ্ছেন।"
সময় জার্নাল/এলআর