এহসান রানা,ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ৭ নভেম্বর নিয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা জাতীয়তাবাদী দলের প্রস্তুতিমূলক সভায় আওয়ামী লীগ ও নিক্সন চৌধুরীর সমর্থকদের উপস্থিতি দেখে ভাঙ্গা উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সিরাজ মিয়া প্রতিবাদ করায় দুইপক্ষের মাঝে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পড়ে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন সিরাজ মিয়া।
এ ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার ( ২রা নভেম্বর) বিকালে ভাঙ্গা উপজেলা সদরের খন্দকার টাওয়ারে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতিমূলক সভায়। এ ঘটনায় উপজেলা বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ‘রাজনৈতিক আমলনামা’ নামক একটি ফেসবুক আইডিতে বিষয়টি নিয়ে স্ট্যাটাস দেওয়া হয়।
শনিবার ( ২ রা নভেম্বর) দুপুরে ৭ নভেম্বর উপলক্ষে আলোচনা সভা ডাকেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার ইকবাল হোসেন সেলিম। সভায় উপস্থিত ছিলেন ১২টি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ ও নিক্সন চৌধুরীর সৈনিকেরা। এরই প্রেক্ষাপটে বিএনপির আজিমনগর ইউনিয়নের সভাপতি সিরাজ মিয়া প্রশ্ন করেন এরা কারা? এরাই ১৪ থেকে ১৫ বছর জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে এবং বিএনপির লোকজনকে ডিস্টার্ব করেছে। আজ কেন এরা মিটিংয়ে এসেছে? কারা এদের দাওয়াত দিয়েছে? এ নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
তার মধ্যে সেলিম খন্দকারের আস্থাভাজন উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক শামীম মিয়া বলেন, আমি দাওয়াত দিয়েছি আপনার কী? প্রয়োজন হলে আপনি এখান থেকে বের হয়ে যান।
তখন বিএনপি নেতা সিরাজ মিয়া বলেন, আমি জাতীয়তাবাদী দলে বিশ্বাসী, আওয়ামী লীগ বা নিক্সন চৌধুরীর রাজনীতি আমরা করি না, তাহলে কেন বিএনপির মিটিংয়ে এরা উপস্থিত থাকবে?
এ ঘটনায় ভাঙ্গা উপজেলা জাতীয়তাবাদী দলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক ফজলের সোবহান শামীম জানান, নিজেদের মধ্যে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল, সেটি মীমাংসা হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে ভাঙ্গা পৌর জাতীয়তাবাদী দলের আহবায়ক মিজানুর রহমান পান্না জানান, যাদের দ্বারা বিএনপি নির্যাতিত তাদের দাওয়াত দেওয়া অবশ্যই খারাপ কাজ, এটা আমরা আশা করি না। আমি এর নিন্দা জানাই। বিএনপির আজিমনগর ইউনিয়নের সভাপতি সিরাজ মিয়া প্রতিবাদ করতে গিয়ে ধাক্কা খেয়ে পড়ে গিয়ে আহত হন। তিনি এখন ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
তানহা আজমী