কেমন হবে বাংলাদেশের সঙ্গে মার্কিন সম্পর্ক
সারাবিশ্বের চোখ এখন মার্কিন নির্বাচন ঘিরে। যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম রাষ্ট্রপতি তার প্রেক্ষিত, সেই জিজ্ঞাসা আলোচনার ঠিকানা এবারে ভিন্নমাত্রায় দেখা গেল ঠিকানা টিভির পর্দায়। নির্বাচনের পরে কেমন হবে বাংলাদেশের মার্কিন সম্পর্ক। কোন বিষয়গুলো গুরুত্ব দিবে মার্কিন প্রশাসন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশের রাজনীতিতে কতখানি ভুমিকা পালন রাখবে। নানা প্রশ্ন বাংলাদেশিদের মাঝে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রচারিত প্রভাবশালী, গতিশীল ও দায়িত্বশীল সংবাদ পরিবেশনায় মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পুঙ্খানুপুঙ্খ, ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির ভাব ও ভাবনার সম্প্রচার করেছে ঠিকানা টিভি।
প্রথমবারের মতো, ঠিকানা টিভি ইংরেজি ভাষায় মার্কিন নির্বাচন সম্পর্কিত আলোচনা ও বিশ্লষণের বিশেষ সম্প্রচার করেছে। তিন দিনের আয়োজনে ব্যাপক আকারে নির্বাচনী আপডেট, আর্থ-সামাজিক বিশ্লেষণ ও রাজনীতি নিয়ে আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গির বৈচিত্র্যময় আলাপ-ভাবনা সামনে তুলে থরা হয়েছে।
সাংবাদিক নাদের রহমানের সঞ্চালনায় ঠিকানা টিভি দর্শকদেরকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বজুড়ে এই নির্বাচনের তাৎপর্য সম্পর্কে ভিন্নমাত্রিক বিশ্লেষণ তুলে ধরেছে। ব্রেকিং নিউজ আর প্রোগ্রামে রাজনৈতিক ভাষ্যকার, সুইং স্টেটের সংবাদদাতা ও আন্তর্জাতিক সাংবাদিকেরা মাঠ থেকে ও ভোট কেন্দ্র থেকে তাদের সংবাদ ও আলাপ তুলে ধরেছেন প্যালেস্টাইন, মেক্সিকো এবং ইউরোপের মতো অঞ্চলে এই গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনকে কীভাবে দেখা হচ্ছে সে সব দৃষ্টিভঙ্গিও তুলে ধরা হয়েছে।
ঠিকানা সংবাদপত্রের নির্বাহী প্রযোজক ও চিফ অপারেটিং অফিসার মুশরাথ শাহীনের প্রযোজনায় নির্বাচন কেন্দ্রিক অনুষ্ঠান পরিকল্পনা ও সৃজনশীল দৃষ্টিভঙ্গি কভারেজ দেয়া হয়েছে। মুশরাথ শাহীন বলেন, ঠিকানা টিভিতে নির্বাচনকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে একটি অনন্য প্ল্যাটফর্ম হিসেবে সারা বিশ্ব থেকে কণ্ঠস্বরকে এক করা হয়েছে। বিশ্ব রাজনীতিতে সবচেয়ে প্রভাবশালী ইভেন্টের একটি মার্কিন নির্বাচনের সার্বিক দিক তুলে ধরার কাজ করেছি। পেশাদার সাংবাদিকতা ও দায়িত্বশীলতাকে গুরুত্ব দিয়ে দর্শকদের নির্বাচনের দেশীয় ও আন্তর্জাতিক গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে।
ঠিকানার পর্দায় নির্বাচনের বিশেষ কভারেজের ফলশ্রুতিতে দর্শকদের সম্পৃক্ততা তৈরি করেছে। ঠিকানা টিভির ডিজিটাল মাধ্যমে এই সময়ের সম্প্রচার দেখতে দর্শক সংখ্যা ৬০ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে। নির্বাচন আমেজের প্রথম সপ্তাহে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ১ লাখের বেশি ভিউ পড়ে। রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও বক্তাদের অন্তর্দৃষ্টি আর অন্তর্ভুক্তিমূলক সাংবাদিকতার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে অনুষ্ঠান নির্মাণ ও প্রচার করা হয়েছে। বিশ্লেষকদের মধ্যে নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের প্রতিনিধি জোহরান মামদানি ও এনওয়াইসি কম্পট্রোলার ব্র্যাড ল্যান্ডারের মতো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন। সেইসাথে পিবডি পুরস্কার বিজয়ী চলচ্চিত্র নির্মাতা মার্সিয়া রবিউ এবং রাজনৈতিক পরামর্শদাতা এবং পোলস্টার জ্যোত সিং-এর মতো সম্মানিত সাংবাদিকরা নিজেদের মূল্যবান ভাবনা প্রকাশ করেন। বিশ্লেষকেরা নির্বাচনী প্রক্রিয়া ও বর্তমান রাজনৈতিক আবহওয়ার নানান প্রভাবক নিয়ে আলাপ করেন।
সাংবাদিক নাদের রহমান বলেন, আমাদের কভারেজ শুধু ভোট নিয়ে নয়, আমরা গণতন্ত্রের ভবিষ্যত, বিশ্বব্যাপী সাধারণ মানুষের কণ্ঠস্বরের শক্তি ও সামাজিক শক্তিকে গুরুত্ব দেই। ঠিকানা এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যা ভৌগলিক ও ভাষাগত বিভাজনের মধ্য ডিজিটাল সেতুবন্ধন এখন। ঠিকানা টিভি এখন বিনোদন, খেলাধুলা ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার বিষয়টিকে দর্শক আগ্রহের প্রেক্ষিতে বিবেচনা করছে। উদ্ভাবনী, দায়িত্বশীল ও কমিউনিটিকে যুক্ত করে দায়িত্বশীল গণমাধ্যমে ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে ঠিকানা।
সময় জার্নাল/এলআর